ভারতের বিবৃতি পক্ষপাতমূলক: নজরুল ইসলাম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, গত জুলাই-আগস্টে হাজারো মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। এনিয়ে তো তাদের কোনো বিবৃতি দেখলাম না। অ্যাডভোকেটকে মেরে ফেলা হলো এই নিয়ে তো কোনো বিবৃতি নেই। একজনকে গ্রেপ্তার করলে বিবৃতি দেবেন আর হাজার হাজার মানুষকে খুন করলে বিবৃতি দেবেন না, এটা পক্ষপাতমূলক।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ‘ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের মোকাবিলায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় ইসকনকে ইঙ্গিত নজরুল ইসলাম বলেন, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে একটা সংগঠনের শাখা আছে। সেসব দেশে তারা দাবি নিয়ে মিছিল করে না, লং মার্চের ঘোষণা দেয় না। একমাত্র বাংলাদেশেই করা হয়, কেন? এত বছর ধরে যে নির্যাতন, নিপীড়ন করেছে তখন কোনো প্রতিবাদ না করে শেখ হাসিনার পতনের পরই কেন আন্দোলন করতে হবে। তারা এদেশের মানুষ হয়ে ভারতের কাছে অনুরোধ জানায়। বাংলাদেশ কারো অধীনে নাকি যে ব্যবস্থা নেবে? আর তারাও বিবৃতি দেয়।
ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশে বিদ্যমান সব রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছে, তাদের একত্রিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের মূল দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বর্তমান সরকার জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, যেখানে জনগণের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ’৫২র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৯০র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত, দেশের মানুষ বহু রক্ত দিয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরও আমরা একদলীয় শাসন, সামরিক স্বৈরশাসন এবং গণতন্ত্র হত্যার সাক্ষী হয়েছি। আজকের শাসকেরাও সেই ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রকে অর্থহীন করেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আজম খান। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি এনায়েত উল্লাহ হাফেজী, মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/জেবি
মন্তব্য করুন