চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন তৌহিদ হোসেন

প্রথম বারের মত দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর আমন্ত্রণে দেশটি সফরে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সোমবার বিকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন। তিনদিনের সফর শেষে আগামী ২৪ জানুয়ারি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরে বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শীর্ষ পর্যায়ের সফর বিনিময়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, ক্রীড়া অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরের লক্ষ্য ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরেও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ও সাংহাই ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে বক্তৃতা করবেন।
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সাংহাইয়ে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে উপদেষ্টার মতবিনিময় করার কথা রয়েছে। চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। বাংলাদেশ চীন থেকে বছরে ২৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে, অপরদিকে রপ্তানির পরিমাণ মাত্র ৬৭০ মিলিয়ন ডলার।
চীনের বাজারে শতভাগ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি এখনও কম, যার ফলে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। সফর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেইজিংয়ে উপদেষ্টার আলোচনার সময় এই বৈষম্য মোকাবেলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হবে। এছাড়া আলোচনায় থাকবে রোহিঙ্গা ইস্যুও।মূলত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা সংকটে চীন দীর্ঘদিন ধরে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে। এবারের সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রধান আলোচনায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ঢাকা-বেইজিং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উভয় দেশই এই মাইল ফলকটি স্মরণীয় করে রাখতে বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান উদযাপনের পরিকল্পনা করেছে। ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি এ সফরকালে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/আরএইচ/এমআর)

মন্তব্য করুন