উপেক্ষিত বাবর, সমাদৃত বাবর!

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১
অ- অ+

প্রায় দেড় যুগ কারাগারে থাকার সময় দলে প্রায় উপক্ষিতই ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। কিন্তু জেল থেকে বের হতেই তাকে নিয়ে বিএনপিতে শুরু হয়েছে নতুন উদ্দীপনা।

গত ১৬ জানুয়ারি বাবরকে বরণ করতে কারা ফটকে জড়ো হন তার অসংখ্য সমর্থক ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। জেল থেকে বের হতেই তাকে বরণ করে নেয়া হয় ফুলের মালা দিয়ে।

পরে মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে নিয়ে যাওয়া হয় সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে। হুটখোলা গাড়িতে ফুলের মালা পড়া বাবর, হাত নেড়ে নেড়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তার জবাব দেন।

সংবর্ধনাপর্ব মেটার পর বাবরের সঙ্গে দেখা করছেন একের পর এক নেতা। মতবিনিময়, সৌজন্য সাক্ষাতসহ নানা ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে তার। এরইমধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

কিন্তু কারাগারে থাকার সময়, প্রায় ১৮ বছর দলের ভেতর অনেকটা উপেক্ষিতই ছিলেন এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই ব্যক্তি। বিএনপিতে এতদিন ধরে নেই তার কোনো পদই।

একসময় অত্যন্ত দাপুটে ও জনপ্রিয় এই নেতা নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে এমপি হয়েছেন তিনবার। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে হন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

কিন্তু, বাবরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ছেদ পড়ে ওয়ান ইলেভেনের সময়। ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন তিনি। পরে বিভিন্ন মামলা দেওয়া হয় তার নামে। এই অবস্থার মধ্যেই এসে পড়ে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দল অনুগত বাবর তখন কারাগারে বন্দী। তার আসনে বিএনপি প্রার্থী দেয় অন্য একজনকে। কিন্তু জেল থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি।

আর এ কারণেই, সেই ভোটের আগে, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয় লুৎফুজ্জামান বাবরকে। তখন তিনি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক। অবশ্য ভোটের কয়েকদিন পরই, বাবরের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে চিঠি দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তবে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার হলেও লুৎফুজ্জামান বাবরকে আর কখনো দলীয় কোনো পদ দেওয়া হয়নি। যদিও আরেক নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।

লুৎফুজ্জামান বাবর কারাগারে থাকার সময় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তার স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে প্রার্থী হন তিনি। অবশ্য সেই ভোটে জিততে পারেননি বাবরের স্ত্রী।

ওয়ান ইলেভেনের সময় আটকের পর বিভিন্ন মামলা দেওয়া হয় বাবরের নামে। কয়েকটি মামলায় তাকে দণ্ড দেয় আদালত। এর মধ্যে দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। একটি মামলায় হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ওইসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/আরবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জাহাঙ্গীর টাওয়ারে আগুন: ভবনে ও রেস্টুরেন্টে অগ্নিনিরাপত্তা ছিল কিনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ ডিএনসিসি প্রশাসকের  
তিতুমীর কলেজের দুই হলে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক: আলী রীয়াজ
স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়া মানে রাজনীতিবিদদের অবিশ্বাস করা: রিজভী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা