ধর্ষণের অভিযোগে মিথ্যা মামলা: বাদী নারীকে কারাগারে পাঠালো আদালত

ঝালকাঠিতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করায় এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ওই নারীর নাম, সুমাইয়া আক্তার রিমি। তিনি নলছিটি উপজেলার যুবলীগ কর্মী মামুন হাওলাদারের স্ত্রী।
বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আমিনুল ইসলাম ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নাসিমুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের কাওসার হোসেন ওরফে মিন্টু মৃধার (৭০) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নলছিটি থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন সুমাইয়া আক্তার রিমি। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় কিছুদিন কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন মিন্টু মৃধা। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেন এবং অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা না পাওয়ায় অভিযোগটি মিথ্যা বলে ট্রাইব্যুনালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর ওই নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়েরের অভিযোগ এনে সুমাইয়া আক্তার রিমির বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
এ মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয় নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামানকে। তিনি নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী দাবি করেন, ২ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মো. আখতারুজ্জামানের প্ররোচনায় ওই নারী মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন।
পিপি নাসিমুল হাসান বলেন, ধর্ষণ মামলাটি আদালতের কাছে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন