গণহত্যা বিচার ও আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রয়োজনে যমুনা ঘেরাও করা হবে: আবু হানিফ

জুলাই গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি মিছিল নিয়ে নগরী বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে চকবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েছিল। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই গণহত্যার বিচার ও গণহত্যারকারীদের নিষিদ্ধের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা সরকারের কাছে বার বার আহ্বান করছি গণহত্যার বিচার কাজে গতি আনা ও গণহত্যাকারী দলকে নিষিদ্ধ করতে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচার না করলে প্রয়োজনে যমুনা ঘেরাও করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশে গুম, খুন, হত্যা চালিয়েছিল। সবশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ও ক্ষমতায় থাকতে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে মুখে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন মৃত। আওয়ামী লীগের তাদের প্রিয় দেশ ভারত থেকে গুজব ছড়াচ্ছে। দেশে থাকা পলাতক লীগরা জঙ্গি স্টাইলে বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল করছে। এই আওয়ামী লীগ এখন গুজব লীগ ও জঙ্গি লীগের পরিণত হয়েছে।
আবু হানিফ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, নেতার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু রাজনীতির গুণগত মান পরিবর্তন হয়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতা জীবন দিয়ে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে। তাই এমনভাবে সংস্কার করতে হবে যাতে করে ফ্যাসিবাদ ফেরার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। গণঅধিকার পরিষদ এই দেশের মানুষকে নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে। দেশের প্রকৃত মালিকানা জনগণের হাতে তুলে আমরা কাজ করে যাব। তাই দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো আপনারা গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে থাকুন।
দলের আরেক উচ্চতর পরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন আকাশ বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সরকারের দায়িত্ব নেয় ইন্টারিম গভর্নমেন্ট। তাদের প্রধান দায়িত্ব ছিল খুনি সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা কিন্তু তারা ৮ মাসের মধ্যে ও সেটা করেনি এটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার। আর সরকারে তিনজন উপদেষ্টা ছাত্রদের পক্ষ থেকে ছিলেন এবং তাদের প্রধান দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা কিন্তু তারা সেটা করেনি উল্টো ভেতরে ভেতরে ফ্যাসিবাদ দের পুনর্বাসন করছে! এই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে, এমনকি যারা তাদের পুনর্বাসন করবে তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের আন্দোলন চলবে। জুলাইয়ে পরাজিত শক্তির এই বাংলায় রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইউসুফ। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় পার্বত্য বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয়সহ নারী বিষয়ক সম্পাদক নাসরিন আক্তার, চট্টগ্রামের গণঅধিকার পরিষদের নেতা ডা. এমদাদুল হাসান, মো. শাহ্ আলম প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন