শিবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যা
দুবাই থেকে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার করল পিবিআই, আদালতে স্বীকারোক্তি

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. হারুনুর রশিদ খান হত্যাকাণ্ডে অন্যতম আসামী মহসীন মিয়াকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে গত ২১ জুলাই আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ মহসীনকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে বিষয়টি জানায়। এরপর ১৫ জুলাই একটি পুলিশ দল দুবাই গিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে এবং ২০ জুলাই দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে তাকে পিবিআই নরসিংদী অফিসে হাজির করা হয়।
হত্যার বিবরণ ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে তার বাসায় গুলি করে হত্যা করা হয়। ভোরে একটি ফোন কলের মাধ্যমে জানানো হয় যে, মসজিদের অনুদানের জন্য কেউ টাকা নিয়ে আসবে। ভিকটিম বাসার দরজা খুলে দেন এবং মুহূর্তেই তার ওপর গুলি চালানো হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলেও ৩১ মে ২০২৩ তারিখে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
তদন্ত ও গ্রেপ্তার হত্যাকাণ্ডের পর ভিকটিমের ছেলে আমানুর রশিদ খান শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে তদন্তভার পায় পিবিআই। পিবিআই তদন্তে জানতে পারে, মূল পরিকল্পনাকারী ছিল আসামী আরিফ সরকার। তার পরিকল্পনায় মহসীন মিয়া, ইরান মোল্লা, মোবারক ও হুমায়ুন এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।
এজাহারভুক্ত কয়েকজন আসামী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে পিবিআই ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। মহসীন মিয়াকে দুবাই থেকে, এবং শুটার মোবারক হোসেনকে চলতি বছরের ৯ মার্চ ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া তদন্তে গ্রেপ্তার হওয়া জহিরুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
যা বলছে পিবিআই পিবিআই নরসিংদী জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) এস.এম. মোস্তাইন হোসেন বলেন, “দীর্ঘ তদন্ত ও চেষ্টার পর আমরা মহসীন মিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হই। তিনি আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পিবিআই বদ্ধপরিকর।”
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এলএম)

মন্তব্য করুন