গোটা বিশ্বের ওপর শুল্ক আরোপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের! ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ৩১ মার্চ ২০২৫, ২২:৫৫
অ- অ+

বিশ্বের সব দেশের ওপরই এবার শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষ্যাপাটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্তি দিবস’ বলে উল্লেখ করেছেন।

সোমবার এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বের ওপর তার দেশের শুল্ক আলোপের সিদ্ধান্ত আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। খবর রয়টার্সের।

এর আগ পর্যন্ত আলোচনায় ছিল, যুক্তরাষ্ট্র কেবল সেই দেশগুলোর ওপর পাল্টা শুল্ক বসাবে, যারা মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপ করে বা যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প এবার স্পষ্ট করে বলেছেন, এটি শুধু নির্দিষ্ট কিছু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমরা সব দেশের ওপরেই শুল্ক আরোপ করা শুরু করবো, দেখা যাক কী হয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্তি দিবস’ উদযাপনের আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা বাকি। তাই অনেকে আশা করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো কিছু শুল্ক হ্রাস করবেন। কিন্তু ট্রাম্প এই গুজব উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি ১০-১৫টি দেশের ব্যাপারে কোনো গুজব শুনিনি। আমরা সব দেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছি— কোনো ছাড় নেই।’

ট্রাম্প এদিন আরও বলেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্ক বসিয়েছে, তাদের জন্য তিনি তুলনামূলকভাবে ‘ভদ্র’,‘উদার’ এবং‘দয়ালু’ থাকবেন।

তার ভাষায়, ‘এই দেশগুলো ইতিহাসের যেকোনো দেশের চেয়ে আমাদের বেশি ঠকিয়েছে, আর আমরা তাদের তুলনায় অনেক বেশি ভালো ব্যবহার করবো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটা বিশাল অঙ্কের রাজস্ব এনে দেবে।’

চীন ইতোমধ্যেই মার্কিন শুল্কের প্রভাব অনুভব করেছে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও অন্যান্য চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে গাড়ি আমদানির ওপরেও নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।

এদিকে ট্রাম্পের শীর্ষ বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো দাবি করেছেন, ‘শুধু গাড়ি আমদানির শুল্ক থেকেই বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার আদায় করা সম্ভব। আর সব দেশের ওপর শুল্ক বসালে বছরে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আসবে— ১০ বছরে যা হবে ৬ ট্রিলিয়ন ডলার।’

তবে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, এই শুল্কের খরচ শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদেরকেই বহন করতে হবে। তারা সতর্ক করে বলেছেন, এভাবে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে, পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে এবং অর্থনীতি মন্দার দিকে যেতে পারে।

ট্রাম্প অবশ্য এসব দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘শুল্ক আমার প্রিয় শব্দ। এটি মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে, সরকারের রাজস্ব বাড়াবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ও উৎপাদন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করবে।’

(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
খুলনায় ট্যাংক লরি উল্টে দুই নারী নিহত
আন্তঃজেলা বাসে ডিএনসির অভিযানে, সাড়ে ১৫ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২
বিভেদ ঘুচাতে মানুষের মাঝে প্রেম সৃষ্টির আহ্বান মির্জা ফখরুলের
মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ইনিংস ব্যবধানে হার জিম্বাবুয়ের, ১-১ সমতা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা