বর্জ্যপানিতে নেমে নালা পরিষ্কার করলেন কাউন্সিলর
বর্জ্যপানি নিষ্কাশনের নালার কোমরপানিতে নেমে নিজেই তা পরিষ্কার করলেন বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন।
গত কয়েক দিন ধরে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে শহরের হার্ড পয়েন্ট সাতমাথাসহ প্রায় সব রাস্তা হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। একটু বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে মূল রাস্তা, অলিগলি। পৌরসভার ড্রেজিং ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। তবু কোনো কাজ হচ্ছে না।
বিশেষ করে শহরের সাতমাথা থেকে বড়গোলা মোড়, টিনপট্টি, প্রেসপট্টি, বাদুড়তলা রোড, শাপলা মার্কেটে পানি জমে যায়। অনেক মার্কেটের নিচতলার দোকানেও পানি ঢোকে। এসব পানিতে ভেসে বেড়ায় ড্রেনের ময়লা। দুর্গন্ধময় ময়লা পানিতে পথচারীরা বাধ্য হয়ে চলাচল করে। এতে শহরজুড়ে ছড়াচ্ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ।
এসব চিত্র বগুড়ার জনপ্রতিনিধিরা প্রতিদিন দেখলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।
সেউজগাড়ী ও সবুজবাগ এলাকার ড্রেনও আর সব জায়গার মতো বেহাল। তবে এ এলাকার পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কারো অপেক্ষা না করে নিজেই নেমে পড়েন ড্রেন পরিষ্কারে। দীর্ঘসময় ধরে তিনি নিজের হাতে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করেন।কাউন্সিলর জানান, এলাকার মানুষ যাতে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে সে জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে সব ধরনের কাজ পর্যায়ক্রমে করা হচ্ছে।
এদিকে প্রেসপট্টির বেহাল পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার দিকে পৌরসভার নজর নেই বলে অভিযোগ সেখানকার ব্যবসায়ীদের। জেনুইন মিডিয়ার স্বত্বাধিকারী আবুল কাশেম আমীন অভিযোগ করে বলেন, প্রেসপট্টি রাজস্ব আদায়ের অন্যতম একটি ব্যবসায়িক এলাকা হলেও এখানকার একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। প্রেসের কালি, বিষাক্ত কেমিকেল এখানকার ড্রেনগুলোতে প্রতিদিন পড়ে, তা একটু বৃষ্টি হলেই ময়লাসহ রাস্তায় উঠে আসে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু পৌরসভা কখনোই এই রাস্তার দিকে নজর দেয় না।
(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/মোআ)