পথশিশুদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেত্রীর ঈদ

কাজী রফিকুল ইসলাম
ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৪৮ | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০১৮, ২১:৩৪

ঈদ মানে আনন্দ। তবে এ আনন্দ সবার মনে দোলা দেয় না। সমাজের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষ সব সময়ই থেকে যায় উৎসব আনন্দের বাইরে। যাদের আমরা ছিন্নমূল বলে চিনি। রাজধানী জুড়ে ছিন্নমূল মানুষ অগণিত। তারা যে সমাজের একটি অংশ, সমাজের মানুষের একটু সহযোগিতায় তারা হয়ত সুন্দর জীবন পেতে পারত তা নিয়েও ভাবেন অনেকেই। এই ভাবুক ও দরদি মানুষদের মধ্যে আছেন রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নানাভাবে সমালোচিত সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। রাজধানীতে ছিন্নমূল শিশুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেখা গেল তাদের।

ছিন্নমূলদের সাথে খেলেন এবং তাদের মুখে তুলে খাওয়ালেন তারা। মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী শুভ্রা মাহামুদ তাদেরই একজন। তার সঙ্গে এমন মানবিক কাজে সহযোগিতায় থাকেন আশিক আহমেদ রুদ্র নামে ছাত্রলীগের আরেক যোদ্ধা।

ধানমন্ডি লেক ও রবিন্দ্র সরোবরে প্রতিদিন দেখা মেলে নাম না জানা অনেক পথশিশুর। সুবিধা বঞ্চিত এই শিশুদের ভবিষ্যৎ যেমন অনিশ্চিত। একইভাবে নিশ্চয়তা নেই দুবেলা পেট ভরে খাওয়ার। আর বিরিয়ানি, পোলাও, মাংস তাদের কাছে বেশ কাল্পনিক।

কেবল মুখ চেনা এই শিশুগুলোর সাথে বেশ পরিচিত শুভ্রা মাহামুদ। নিজ হাতে খাবার রান্না করে, নিজ হাতেই প্রায়ই তাদের খাইয়ে যান এই ছাত্রলীগ নেত্রী।

পথশিশু সাব্বির ঢাকাটাইমসকে বলে, 'আফা তো মাঝে মধ্যেই আসে। যহন আসে খাওন নিয়া আহে। আফায় নিজেই রান্না কইরা আনে। আমাগো খুব আদর করে। আফায় খুব ভালো।'

ধানমন্ডি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টুনি, বৃষ্টি, রত্না, সামিয়া, রাব্বি, ফাহিমরাও জানাল একই কথা।

এবার উপলক্ষ যখন ঈদ তখনও নানা কাজ ফেলে ছুটে এসেছেন শুভ্রা। ঢাকাটাইমসের সাথে আলাপকালে শুভ্রা মাহামুদ বলেন, 'কাজ ফেলে আসিনি৷ এটাও আমাদের কাজ৷ মানুষ হিসেবে আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমি সে দৃষ্টিকোণ থেকে মাঝেমধ্যে ওদের সাথে খাওয়া দাওয়া করতে আসি।'

শুভ্রা আরো বলেন, 'এরা সুবিধা বঞ্চিত না, এরা আমাদের দৃষ্টি বঞ্চিত। আমরা এদের দিকে দৃষ্টি দিলেই এরা একটি সুন্দর জীবন পেতে পারে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অংশ হিসেবে আমি সেটাই চেষ্টা করি। আমি আশা করি, আমার এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি আমার অনেক কাছের মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের সহযোগিতাই আমাকে আরো উদ্বুদ্ধ করেছে।'

পরিত্র ঈদুল আজহায় কুরবানির মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করে এনেছেন শুভ্রা। এ সময় তার সাথে ছিলেন আশিক আহমেদ রুদ্র। রুদ্র জয়পুরহাট জেলার খেতলাল থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক।

জানা গেছে, শুভ্রার সাথে এই শিশুদের সাথে খাওয়া দাওয়া করতে আসেন রুদ্র। ২০১৩ সাল থেকে এভাবেই নিজেদের ঈদ ও বিভিন্ন উৎসব পালন করে আসছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের এই দুই সদস্য।

ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/কারই/ ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :