দেশি গাবের কদর কমছে

ময়মনসিংহে গ্রামাঞ্চলের ঝোপ-ঝাড়ে যে গাছটিকে ভয় ভূত-পিচাশের চেয়ে কম নয়- এর নাম দেশি গাব। বহু বর্ষজীবী দেশি গাব বাংলা ও হিন্দিতে গাব, সংস্কৃতে তিন্দুকা এবং তামিল ভাষায় তুম্বিকা নামে পরিচিত।
ময়মনসিংহের গ্রামগুলোতে একসময় প্রচুর গাব গাছ দেখা যেতো। এ অঞ্চলে গাব গাছ নিয়ে মানুষের রয়েছে ব্যাপক ভীতি। গাব গাছে ভূত-পিচাশ বাস করে।
এর সত্যতা পাওয়া না গেলেও ঘন পল্লবের পরিপক্ক একটি গাব গাছ ৩০-৩৫ মিটার লম্বা আর ৬৫-৭০ মিটার ব্যাসের হয়ে থাকে। গাব গাছকে নিরাপদ মনে করে পেঁচার মতো সহজ-সরল প্রাণী বসবাস করে। রাতে পেঁচাকে ভূত-পিচাশ ভেবে ভয় পায় না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম।
দেশি গাবের ফল গোলাকার। খেতে হালকা মিষ্টি ও কষযুক্ত। সবুজ ফল পাকলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
গাবের ফল থেকে ট্যানি জাতীয় আঠা তৈরি করা হয়। টেকসই করতে এর আঠা জালে, পশুর চামড়ায় এবং নৌকায় মাখানো হয়।
আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য চিরঞ্জীব বনৌষধিতে গাবের বিভিন্ন ভেষজ প্রয়োগের কথা উল্লেখ করেছেন। বহুমূত্র, ক্যান্সার, একজিমা, চর্মরোগ, আমাশয়, মূত্ররোগে গাব একটি কার্যকর ভেষজ।
লোকালয়ের ঝোপ-ঝাড় ধ্বংস করে আবাদি জমি তৈরির ফলে অন্যান্য মূল্যবান গাছের মতো দেশি গাবও হারিয়ে যেতে বসেছে।
সেইসাথে বসবাসের উপযোগীনির্ভর নিরীহ প্রাণী পেঁচাও বিলুপ্ত হতে চলেছে।
(ঢাকাটাইমস/৭ অক্টোবর/আঞ্চলিক প্রতিনিধি/এলএ)

মন্তব্য করুন