খালেদার নেতৃত্বে সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফেরানো হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৮ | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৪৫

শেখ হাসিনার অধীনে নয়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।

নেতারা অভিযোগ করেন, আজকের সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতে সরকার নানাভাবে পথে পথে বাধা দিয়েছে। তারপরও নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসা ঠেকাতে পারেনি। আজ প্রমাণ হয়েছে বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল।

রবিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ‍জনসভায় এসব কথা বলেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা । বিএনপি ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিব স’ হিসেবে পালন করে।

সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির ভাষণ দেন। তার আগে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মঈন খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের মানুষ চায় না দাবি করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আগামী বছর ২০১৮ সাল হবে আওয়ামী লীগের বিদায়ের সাল। আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।’ তিনি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করে সরকার নিজ হাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে। সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নেয়ার ব্যাপারে সমালোচনা করে এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, একদিন বাংলাদেশে এমন সময় আসবে যেদিন অনুমতি ছাড়াই স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করা যাবে।

দেশে গণতন্ত্র নেই, আছে হত্যা, জুলুম-অত্যাচার- এ মন্তব্য করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, নির্বিচারে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে সরকার। আগামী দিনে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যারা বলে বিএনপির সমর্থন নেই তাদের মুখে আজ নেতাকর্মীরা চপেটাঘাত করেছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন এই জনগণ হতে দেবে না। সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে বাস আটকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেনি। ‍

গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপোষ নয় বলে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। ‍আদালতের বাইরে আদালত আছে। তা হলো জনতার আদালত। শেখ হাসিনার আদালতকে তোয়াক্কা না করে জনতার আদালতকে শ্রদ্ধা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আন্দোলন করব।’ বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি অতীতে যেমন আপোষহীন ছিলেন আগামী দিনেও আপোষহীন থাকবেন।’

ড. আবদুল মঈন খান দেশের ক্রান্তিলগ্নে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছিলেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আবার দেশের ক্রান্তিলগ্নে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করছি। ইনশাল্লাহ আমরা বর্তমান সরকারকে ধ্বংস করে আবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আওয়ামী লীগ তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান। তার দাবি, পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান সিপাহী বিপ্লব ও জনতার মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেন, ‘আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গী এরশাদ গণতন্ত্র হত্যা করেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার তা পুনরুদ্ধার করা হয়। এখনো আমরা তার (খালেদা) নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাব। তার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে। বেকাররা চাকরি পাবে। শ্রমিকরা মর‌্যাদা পাবে। নারীরা নিরাপদ থাকবে। আমরা সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করব।’

ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এটা কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে নয়, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আসুন, সবাই মিলে আমরা এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।’

ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/জেআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :