ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত শিশু জন্মের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে ওই ক্লিনিকে মৃত সন্তান প্রসব করেন রোগি। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক এবং ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের পরিবার।
নিহত শিশুর চাচা মুফতি আমজাদ হোসেন আশরাফী বলেন, শুক্রবার দুপুরে আমার ভাই মালেয়শিয়া প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) প্রসব ব্যথা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়ের হলি ল্যাব হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন। ক্লিনিকের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. ফৌজিয়া আকতার রোগিকে বলেন একদিন হাসপাতালে থাকলেই ঠিক হয়ে যাবে। তার কথামত রোগি ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। সন্ধ্যায় ৮ মাসের প্রসূতি হাসিনা বেগম বাথরুমে গেলে প্রচুর রক্তক্ষরণে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে রোগির স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করলেও রাত ৯টা পর্যন্ত কেউ আসেনি। রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার রোগিকে দেখে বলেন, বাচ্চা স্বাভাবিকভাবেই হবে। তবে সন্তান হবে মৃত। রাত সাড়ে ১০টায় দিকে মৃত বাচ্চা প্রসব করেন। রাতেই বাচ্চাটিকে শহরের ঘাটুরায় দাফন করা হয়।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, ক্লিনিকে নেয়ার পর বার বার বলার পরও ডাক্তারকে পাওয়া যায়নি। তিনি বাইরে ক্লিনিকে চলে যান। অবহেলার করেই গুরুতর অসুস্থ রোগিকেও দেখতে আসেনি। তাই মৃত সন্তান প্রসব করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চান ক্ষতিগ্রস্তরা।
এ বিষয়ে ডা. ফৌজিয়া আক্তার বলেন, ডেলিভারি ব্যথা নিয়েই হাসপাতালে রোগি ভর্তি হয়েছিলেন। তার ব্যথা কমানোর ওষুধ দেয়া হয়েছিল। কমপক্ষে ৪০ সপ্তাহ না হলে বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। আমি অনেক চেষ্টা করেছি।
(ঢাকাটাইমস/০৭জুলাই/প্রতিনিধি/ওআর)