দেড়যুগ পর চলচ্চিত্রের গানে রথীন্দ্রনাথ রায়
লোকগানের জীবন্ত কিংবদন্তি রথীন্দ্রনাথ রায়। ২০০০ সালে তখনকার সুপারহিট জুটি রিয়াজ-শাবনূর অভিনীত ‘হৃদয়ের বন্ধন’ ছবিতে একই শিরোনামের গানে তিনি শেষবারের মতো কণ্ঠ দিয়েছিলেন। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সে গানটি।
এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১৮টি বছর। এত বছরের বিরতি ভেঙে আবার চলচ্চিত্রের গানে ফিরেছেন নন্দিত শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। সরকারি অনুদানে নির্মিত নিশীথ সূর্যের ‘পায়রার চিঠি’ ছবির ‘যাপিত জীবন আনন্দ লগন’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
রথীন্দ্রনাথের নতুন এ গানটির কথা লিখেছেন ‘পায়রার চিঠি’র পরিচালক নিশীথ সূর্য নিজেই। সুরও দিয়েছেন তিনি। গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন মুশফিক লিটু। সম্প্রতি রাজধানীর ‘লং প্লে’ স্টুডিওতে এটির রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে।
এত বছর পর চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেয়া প্রসঙ্গে রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর ‘পায়রার চিঠি’ ছবির গান করার প্রস্তাব দেন পরিচালক নিশীথ সূর্য। কীর্তন আঙ্গিকের এই গানটি আমাকে ভেবেই সুর করা হয়েছে। এ জন্যই প্লেব্যাক করেছি। দীর্ঘদিন পর একটি ভালো কথা ও সুরের গান গাইতে পেরে আমি আনন্দিত।’
প্রবীণ এ সংগীতশিল্পী এর আগে বহু ছবিতে গান করেছেন। এর মধ্যে ‘অন্ধ বঁধু’ ছবির ‘ও যার অন্তরে বাহিরে কোনো তফাত নাই’ এবং ‘নাগরদোলা’ ছবির ‘তুমি আরেক বার আসিয়া যাও মোরে কান্দাইয়া’ অন্যতম। এ দুটি গানের জন্য ‘বাচসাস’ পুরস্কার পেয়েছিলেন রথীন্দ্রনাথ রায়।
এছাড়া ফকির মজনু শাহ ছবির ‘সবাই বলে বয়েস বাড়ে’ এবং ‘নালিশ’ ছবির ‘খোদার ঘরে নালিশ করতে দিলো না আমারে’ গানগুলোর কথা এখনো ভুলতে পারেনি বাংলা গানের শ্রোতারা। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে বরেণ্য এই শিল্পীকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘একুশে পদক’ দেয় বাংলাদেশ সরকার।
ঢাকাটাইমস/১৭ মে/এএইচ