করোনা সবাইকে মানবিক হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে: জাহিদ হাসান

বিনোদন প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট ২০২০, ১৩:৫৬

টিভি নাটকের অতি পরিচিত নাম জাহিদ হাসান। কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও। অভিনয় জগতে তার নামই একটি বিশেষণ। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে নাট্য অভিনেতাদের মধ্যে তিনি একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় কাজ উপহার দিয়ে সবার প্রিয় হয়েছেন। চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। জনপ্রিয়তা পেয়েছেন পরিচালক এবং প্রযোজক হিসেবেও। এই গুণী অভিনেতা তার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা টাইমসের সঙ্গে। আলাপচারিতায় ছিলেন লিটন মাহমুদ।

বর্তমান ওয়েব সিরিজ নিয়ে অশ্লীলতার অভিযোগ রয়েছে। কোন ভাবনা থেকে ‘মাফিয়া’কাজের সিদ্ধান্ত নিলেন?

এই ওয়েব সিরিজটি গল্প নির্ভর। আন্ডারওয়ার্ল্ডের গল্প নিয়ে কাহিনি। এখানে অশ্লীলতার কোনো সুযোগ নেই। চরিত্রটি আমার ভালো লেগেছে বলেই কাজটি করছি। মাফিয়ার ভূমিকায় আমাকে দেখা যাবে। আমাদের চারপাশে অসাধারণ যেসব গল্প আছে, সেগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরলে বিশ্ববাসীর হৃদয়ও স্পর্শ করবে।

ইদানিং ধারাবাহিক নাটকে বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে প্রায়ই শোনা য়ায় ধারাবাহিক নাটকে ধারাবাহিকতা থাকে না। আপনার অভিমত কী?

এই ধরনের ঘটনা বড় সিরিয়ালের ক্ষেত্রে ঘটে। সাত পর্বের ধারাবাহিক নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। ছোট ধারাবাহিক তিন চার দিন শুটিং করলেই হয়ে যায়। কিন্তু বড় ধারাবাহিকে অনেক দিন ধরে কাজ করতে হয় বলে একটু বিশৃঙ্খলা হয়ে যায়।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করতে বলা হয়েছে। আসলে আদৌ কি তা সম্ভব?

চাইলে সবই সম্ভব। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুটিং করছি। সবাই মাস্ক পরে কাজ করছে। শুটিং ইউনিটে লোকজন কম। শুটিংয়ের আগে রুমগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। শট দিয়েই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করছে সবাই। নিরাপত্তার জন্য ঢাকার দূরে খোলা পরিবেশে শুটিং করছি। সবাই দূরত্ব বজায় রেখে নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করছি। এভাবে সবাই সচেতন হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা অবশ্যই সম্ভব।

আপনি সিরিয়াস কমেডি থেকে সব ধরনের চরিত্রে সাবলীল। আপনার স্বপ্নের চরিত্র কী?

স্বপ্নের চরিত্র বলতে আমার কাছে ভালো চরিত্র। যেকোনো চরিত্রই গল্পের মতো করে ফুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। সবার থেকে ভিন্নভাবে দেখানোর চেষ্টা করি। বরাবরই গল্পের ভেতর ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা থাকে আমার। কতটুকু পারি তা দর্শকই ভালো বলতে পারবেন।

করোনা মহামারি কেটে গেলে সমাজের কী কী পরিবর্তন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

অনেক কিছুরই পরিবর্তন হওয়া উচিত। পরিবর্তন হবেও। ঘরে থাকার পর অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। ঘরের মানুষের কষ্টগুলো বুঝতে পেরেছি। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার শিক্ষা পেয়েছি। সবাই যদি সৎভাবে নেয় তাহলে পজিটিভ বিষয়গুলো থেকে যাবে। আমি মনে করি, আগামীতে সুন্দর পৃথিবী আসবে বলেই করোনা এসেছে। পৃথিবীটা সবার।

ঘরবন্দি থেকে কোন অভ্যাস পরিবর্তন করতে পেরেছেন?

অনেক অভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিদিন ক্লাবে যেতাম সেটি বন্ধ হয়েছে। মাঝে নামাজে অনিয়মিত ছিলাম, করোনার কারণে ঘরবন্দি থেকে নামাজে নিয়মিত হয়েছি। লকডাউনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করছি। মোটকথা, করোনা সবাইকে মানবিক হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে।

পরিচালনা প্রযোজনার কী খবর?

এ সময় অন্যদের কাজগুলো করব। যে কাজগুলো কথা দেয়া, সেগুলো শেষ করব। তা ছাড়া মন মতো কাজ না হলে করব না। ঈদে বেশ কিছু নাটক প্রচার হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি নাটক থেকে দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছি।

টেলিভিশন নাটক বাজে সিন্ডিকেটে চলছে। করোনার পর কি এই সিন্ডিকেট ভাঙবে?

এগুলো থাকবেই। তবে না থাকাটা ভালো। যতটা কমবে ততটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। বর্তমানে মার্কেটিং হেডরা শিল্পী নির্বাচনে নাম বলে দেয়। করোনায় পুরো বিশ্বে ক্ষতি হয়েছে। অনেক গুণী মানুষ চলে গেছেন। করোনার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। ক্ষতি যেন সামনে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে।

ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/এসকেএস/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :