পদ্মা সেতুর ৩৯তম স্প্যান বসতে পারে শুক্রবার

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১২:১০| আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৩:০৩
অ- অ+

পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসতে বাকি আর মাত্র তিনটি। বাকি ৩টি স্প্যানের মধ্যে শুক্রবার সেতুতে বসানো হতে পারে ৩৯তম স্প্যান ‘টু-ডি’।

সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে ১০ ও ১১ পিয়ারে এটি বসানো হবে। এতে দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার অংশ। ৩৮তম স্প্যান বসানোর ৬ দিনের মাথায় ৩৯তম স্প্যানটি বসানো হতে যাচ্ছে। আর চলতি নভেম্বর মাসে এনিয়ে সেতুতে মোট ৪টি স্প্যান বসানোর কাজ সম্ভব হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা টাইমসকে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে ও কারিগরি জটিলতা না থাকলে স্প্যানটি বসানো হবে।

তিনি জানান, স্প্যানটি পিয়ারে বসানোর জন্য প্রস্তুত। ক্রেনে তোলা ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চলছে। শুক্রবার সকাল ৮টা অথবা ৯টার দিকে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৯তম স্প্যানটি নিয়ে নির্ধারিত পিয়ারের উদ্দেশে রওনা হবে। কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নির্ধারিত পিয়ার দুটির দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। ভাসমান ক্রেন এ দূরত্ব পাড়ি দেয়ার পর পরবর্তী প্রক্রিয়ায় কারিগরি সমস্যা না দেখা দিলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এদিনই স্প্যানটি বসিয়ে দেয়া হবে। তবে বৈরী আবহাওয়া কিংবা জটিলতা তৈরি হলে স্প্যানটি বসতে আরেকটু সময় লাগবে।

প্রকৌশলী সূত্রে আরও জানা যায়, ৩৯তম স্প্যানটি বসে গেলে বাকি থাকবে ২টি স্প্যান বসানোর কাজ। ডিসেম্বর মাসে ১১ ও ১২ নং পিয়ারে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’ ও ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে ৪১তম স্প্যান স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

এদিকে স্প্যান বসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে সেতুতে ১ হাজার ৮৪৮টি রেলওয়ে ও ১ হাজার ২৩৮টি রোড ওয়েস্ল্যাব বসানো হয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩৮টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার অংশ। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সব কটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই তা খুলে দেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/কেআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, বায়ুমান কেমন রাজধানীর?
দেশের সাত অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
জোটভুক্ত হয়ে যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরই খাবে: আসিফ মাহমুদ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮৫, ‘অনাহারজনিত মৃত্যু’ দাঁড়াল ২৯ জনে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা