বেনাপোলে এনজিও কর্মী হত্যায় প্রতিবেশী স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
বেনাপোল বন্দরের এনজিও কর্মী আল আমিন হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন প্রতিবেশী স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আল আমিন হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় নানান ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে বেনাপোলের দুর্গাপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহারকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে জহুরুলের স্ত্রীর সাথে নিহত আল আমিনের পরকীয়া ছিল।
কামরুন্নাহার জহুরুল দম্পতির দশ বছরের ছেলে জাকারিয়া জানায়, আল আমিন তাদের বাড়িতে মাঝে মধ্যে যেত। তাদের খাওয়া দাওয়া সম্পর্কে খোঁজ খবর নিত। এছাড়া মাঝে মধ্যে আমাদের স্কুলেও পৌঁছে দিত তার সাইকেলে করে। তার মায়ের সাথে মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনেও কথা হতো আল আমিনের।
জুহুরুলের বড় স্ত্রী শাহানারা জানান, তার স্বামী ও তার ছোট স্ত্রী কামরুন্নাহারের বয়সের তফাৎ ছিল অনেক। আমি অন্য বাসায় থাকতাম। সম্প্রতি আমার স্বামী আমাদের এক বাসায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে মাসখানেক পর আবার কামরুন্নাহার আমার স্বামীর ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান দুর্গাপুর রাস্তায় চলে যায়। সেখানে একটি রুমে তারা থাকত।
জহুরুলের বড় স্ত্রীর মেয়ে খাদিজা বেগম বলেন, আল আমিনের সাথে তার ছোট মায়ের সম্পর্ক ছিল- এটা তারা লোক মুখে শুনেছে। প্রায় তিন চার মাস আগে তার সাথে অনৈতিক কাজে মিলিত হওয়ায় তাদের তার পিতা জহুরুল দেখে ফেলে বলে শুনেছি।
যশোর ডিবি পুলিশ জানায়, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জহুরুল ও কামরুন্নাহার দম্পতিকে বেনাপোলের দুর্গাপুর রোডের একটি ইজিবাইক চার্জের গ্যারেজ থেকে আটক করেছি।
গত রবিবার রাতে কোন এক সময় আল আমিনকে গলায় পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে নৃশংশভাবে হত্যা করে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন সোমবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
(ঢাকাটাইমস/৩০ডিসেম্বর/এলএ)