ফেসবুকে ট্রল করার আগে একবার ভাবুন

আতিকা রহমান
| আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৪৭ | প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০২১, ১৫:২৫

একাত্তর টিভির মিথিলা ফারজানার যে ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে আব্দুল আওয়াল নামের এক জন ব্যাক্তিকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছেঃ আপনি মারা গেলেন কি করে? ওপাশ থেকে আওয়াল সাহেব বলেনঃ না না, আমি তো জীবিত আছি!

এই অংশটুকু কেটে এক্স ফাইলের মিউজিক বসিয়ে একটা রসাত্মক ভিডিও ফেসবুকে সয়লাব। মিথিলা ফারজানাকে নিয়ে হাসাহাসি। হাসাহাসি করার মতোই। ফানি বটে। তবে এই গল্পের আগের এবং পরের অংশটুকু কষ্টের।

জনাব আব্দুল আওয়াল যাকে মৃত ঘোষণা করা হচ্ছে তিনি মদন উপজেলার একজন দুস্থ সাংবাদিক। বিগত নয় বছর ধরে এই ব্যাক্তিটিকে ভোটার হালনাগাদের সময় কাগজপত্রে মৃত ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে।

এই লোকটি বিগত নয় বছর বহু সরকারি অফিসে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে পারেনি।

মাঝে চলে গেছে নয়টি বছর। তিনি কোনো সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারেননি। তিনি পাননি কোনো সরকারি সুবিধা। নিজের ভিটা মাটিও খারিজ করতে পারছেন না। নিজের গৃহে তিনি অধিকারহীন। মৃত যে! এমনকি করোনার টিকা দিতেও তিনি অযোগ্য। কারন মৃত মানুষের টিকা লাগে না।

ফানি না? আরও ফানি কথা শুনেন, এই লোকটিকে বলা হয়েছে, তিনি যে জীবিত আবেদন করতে হবে। তিনি আবেদন করে বলেছেন, আমি জীবিত।

তাকে বলা হল, স্থানীয় মেয়রের কাছ থেকে তিনি যে জীবিত তার একটা প্রত্যায়নপত্র নিয়ে আসতে। আগে জানতাম চারিত্রিক প্রত্যয়নপত্র হয়। এখন জানছি জীবিত প্রমাণেই প্রত্যায়নপত্র লাগে।

আওয়াল সাহেব সেটাও নিয়ে এসেছেন। তাতেও কাজ হয়নি। জীবিত আওয়ালকে জীবিত সার্টিফিকেট দেয়া হয়নি।

একাত্তর টেলিভিশনে কাগজে কলমে সেই মৃত আওয়াল উপস্থিত হয়েছিল। তিনি আজও সরকারি খাতায় মৃত। সেই মৃত আওয়ালকে জীবিত প্রমাণের সনদের দাবিতেই ছিল গতকালের অনুষ্ঠান। বলুন তো এবার, কোনটা বেশি ফানি?

ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :