'প্রবাসীদের টিকা জটিলতার সমাধান দ্রুতই হবে'
প্রবাসীদের করোনার টিকা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বৃহস্পতিবার ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক সৌদি আরবে হোটেলে কোয়ারেন্টাইন খরচ বাবদ বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন প্রত্যাশার কথা জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, এখনো টিকার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। যেভাবে আমরা ২৫ হাজার টাকা দেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে জানিয়েছি সেইভাবে টিকার বিষয়টিও জানাবো।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রবাসী কর্মী ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এটা বড় অন্যায়। এ অন্যায় আমরা করতে দেবো না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন এটা কোথায় পেলেন আমি জানি না। তিনি কিভাবে বলে দিলেন, টিকার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যাও। এই করোনার মধ্যে গাড়ি বন্ধ। নানাভাবে কষ্ট করে প্রবাসীরা এখানে এসেছেন। এর দায় কে নেবে? দায় ওই কর্মকর্তাকেই নিতে হবে। তিনি এটা করতে পারেন না।
দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে অনেক প্রবাসীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। তাদেরকে পাসপোর্ট ব্যবহার করে টিকা রেজিস্ট্রেশন করতে দেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদেরকে আমরা আমাদের হিসেবে নিয়েছি। আগে আমরা বলেছিলাম ইউনিক আইডেন্টিফিকেশনের জন্য বিএমইটি স্মার্ট কার্ড দিয়ে নিবন্ধন করার কথা। কিন্তু পরে আমরা আলোচনা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়টি জানিয়েছি। এখন স্মার্টকার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
বিশেষ আর্থিক সহায়তার জন্য অনেক এজেন্সি আবেদন করছে তাদের এই অর্থ দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট দিয়ে যদি কোনো এজেন্সি আবেদন করে তখন আমরা টাকা দেবো। আমরা দেখবো কোনো কর্মীর অ্যাকাউন্ট। তার অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে। তবে নিয়মের বাইরে গিয়ে যদি কেউ আবেদন করে তাহলে হবে না।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তারা টাকা খরচ করেও নানা অনিয়মের শিকারের অভিযোগ করছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঘটনা ঘটছে সৌদি আরবে। প্রাথমিকভাবে সৌদি দূতাবাসে অভিযোগ করতে হবে। কারণ সেখানকার অভিযোগ আমরা গিয়ে খতিয়ে দেখতে পারবো না। আমরা যে অভিযোগ পেয়েছি সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। আমি প্রবাসীদের বলবো, আপনি যে দেশে আছেন সেখানে কোনো নির্যাতন বা অনিয়ম ঘটলে সেই দেশের দূতাবাসে জানান।
এ দিকে টিকার নিবন্ধনের বিষয়ে সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, আমাদের যে সুরক্ষা অ্যাপস আছে সেখানে তিনটি বিষয় বাস্তবয়ন করা হবে। এরমধ্যে এক নম্বর হলো, প্রবাসী কর্মীদের জন্য কোনো বয়সের বাধা থাকবে না। ২০ বছরের উপরে যে কেউ নিবন্ধন করতে পারবে। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার নেই। বিএমইটির নিবন্ধন ও পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে। এটা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের থেকে আশ্বাস পেয়েছি। এটা আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। দেশে ফাইজারের যে টিকা মজুদ আছে, তার থেকে কিছু টিকা প্রবাসীদের দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এআর/কেআর)