বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজছাত্রী
বিয়ের দাবিতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় কচাকাটা ইউনিয়নে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে নীলফামারীর এক কলেজছাত্রী। লিপি নামের ওই তরুণী নীলফামারীর ডোমার সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডোমার থানার নাউতাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। আর পুলিশ সদস্য রাশেদ নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের নায়কের হাট মন্ডলপাড়া গ্রামের কুশাই মিয়ার ছেলে।
লিপি জানান, ২০১৮ সালে তার উচ্চ মাধ্যমিক ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন কনস্টেবল রাশেদ। তখনই তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
লিপির দাবি, তার পর থেকেই তারা এক সঙ্গে চলা ফেরা এবং মেলামেশা করেছেন। তবে বিয়ের কথা বললেই রাশেদ টালবাহানা করতে থাকেন। গত তিন মাস আগে থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই রাশেদের দেওয়া ঠিকানায় তিনি খোঁজ নিতে এসেছেন।
লিপি বলেন, এখন বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাবো না।
এদিকে রাশেদের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য ওই রাতেই কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে হেফাজতে নেন। তিনদিন থেকে মেয়েটি চেয়ারম্যানের বাড়িতেই রয়েছেন।
এ বিষয়ে রাশেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি। রাশেদের কর্মস্থলসহ তথ্য চাইলে পরিবারের সদস্যরা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে রাশেদের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে মেয়েটি রাশেদকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। দু'বছর আগে পারিবারিকভাবে রাশেদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল বলেন, মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কারণে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি। মেয়ের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসলে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করা হবে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/পিএল)