শরতে ‘আষাঢ়ের’ বৃষ্টি

বাংলা ঋতুচক্রের হিসেবে আষাঢ়-শ্রাবণ ভরা বর্ষার মাস। কিন্তু বর্ষাকাল শেষ হয়ে এসেছে শরৎ কাল। তবুও শরতের আকাশ সেজেছে আজ আষাঢ়ের মেঘে। শহর জুড়ে নেমেছে আষাঢ়ের বৃষ্টি। তীব্র গড়মে অতিষ্ঠ জনজীবনে শান্তির পরশ বুলিয়ে শনিবার দুপুরে ঝুম বৃষ্টি নামে।
কিন্তু হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি আর অন্ধকার করা মেঘ কেবলই মনে করিয়ে দেয় আষাঢ় কিংবা শ্রাবণ মাসের কথা। এ যেন শরতে আষাঢ়ের বৃষ্টি।
এর আগে আজ দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পূর্ব মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যা সুস্পষ্ট লঘুচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থলের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পযন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাউসার পারভিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, এখনতো মৌসুম প্রায় শেষ, বর্ষাকালের শেষের দিকে। এখন লঘুচাপের কারণে বাংলাদেশে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কিছুটা বৃষ্টিপাত হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/আরকে/ইএস)

মন্তব্য করুন