তিনবারের চেয়ারম্যান চারবারের মাথায় হারালেন জামানত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় তিনবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু চতুর্থবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছেন। রবিবার উপজেলার বানা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে মাত্র ১৭২ ভোট পেয়েছেন।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টামাংশ অপেক্ষা কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়। সেকারণে যথেষ্টসংখ্যক ভোট না পাওয়ায় হাদী হুমায়ুন কবীর বাবুর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু বানা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন হন। এরপর ২০২০ সালের ১৬ জুন ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ চাল আত্মসাতের সময় হাতেনাতে আটক হন ইউপি চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ুন কবির বাবু ও ইউপি সচিব মুস্তাফিজুর রহমান। পরে তাদের দুজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ওই বছরের ৭ জুলাই ২০১৯-২০২০ চক্রের দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচির প্রায় ৭.৫৩ মেট্রিক টন (৭৫৩০ কেজি) চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় সরকার বিভাগ হাদী হুমায়ুন কবীর বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পরে তিনি আর দায়িত্ব ফিরে পাননি। অবশেষে চলমান ইউপি নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে তফসিল ঘোষণা করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
বানা ইউনিয়নের কয়েকজন ভোটার জানান, একসময় এলাকায় হাদী হুমায়ুন কবীরের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তবে নানা অনিয়মের কারণে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর সেই অবস্থান আর নেই। এ কারণেই এবারের নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন।
এবিষয়ে হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু জানান, আমার বয়স হয়েছে। আমি নির্বাচন না করলে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা কষ্ট পায়। সেকারণেই নির্বাচন করেছি। তবে ঠিকমতো প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/এলএ)