‘মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ২০:১৪
অ- অ+

মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ, স্বাবলম্বী ও পরোপকারী মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হবে। তাদের মধ্যে সহমর্মিতার বোধ তৈরি করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষায় আমরা যা কিছু করছি- আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার কথা বলছি- এসবই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পথরেখা। সবকিছুই তার শিক্ষা ভাবনায় রয়েছে। আর এটির প্রতিফলন দেখতে পাই ড. খুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনে।’

বৃহস্পতিবার গাজীপুরে রোভার পল্লীতে বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রতিভা অন্নেষণ ও আন্তঃইউনিট বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান- ২০২১ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, `উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। আমরাও সেদিকে এগুচ্ছি। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে, তারা ভালো করছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। আমাদের লক্ষ্য ২০৫০ সালে কারিগরি শিক্ষা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা। বঙ্গবন্ধু বলেছেন- ‘শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম বিনিয়োগ।’ আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। আমাদের দেশে বর্তমানে ৫ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে, যেটি অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এই যে শিক্ষার্থী সংখ্যা, এই সংখ্যাটিকে সম্পদে রূপান্তর করাটাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এটিকে ওভারকাম করতে হবে। মানবিক বাংলাদেশ তৈরিতে আমাদের সন্তানরা বড় ভূমিকা পালন করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা’।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, `স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছি। আমাদের অনেকটা পথ বাকি আছে। কারণ অনেক পথ হেঁটেছি অগণতান্ত্রিকভাবে। জাতির পিতাকে হত্যার পর সেই অগণতান্ত্রিক পথ আমাদের সকল উন্নয়নের পথ রূদ্ধ করে দিয়েছিল। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগুচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ‘মানুষ চিরকাল বাঁচে না। যে উন্নয়নের ধারায় রেখে গেলাম সেটি ধরে রেখো।’ আমি বিশ্বাস করি তোমাদের নতুন প্রজন্মের হাত ধরে একশত বছরের বাংলাদেশ একটি পূর্ণতার বাংলাদেশ হবে। একশত বছরের বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমৃদ্ধ হবে না, মানবিক বাংলাদেশও হবে।

রোভার স্কাউটদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, তোমরা যত বেশি উদার হতে শিখবে, দেখবে তোমাদের নিজের জীবন পূর্ণতায় ভরে গেছে। যত বেশি উদারভাবে অন্যকে দিতে পারবে, তার মধ্যে যে প্রাপ্তি আছে, সেটি তোমার জীবনকে পূর্ণতা দেবে। স্কাউটস আন্দোলনের মধ্যদিয়ে অহর্নিশ সেবা, অন্যকে ভালোবাসা- এসবে নিজেকে উজার করে দেবে। সেটিই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সমতাভিত্তিক সমাজ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল অনুপ্রেরণা।

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্কাউট ব্যক্তিত্ব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৬জানুয়ারি/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবক ঢামেকে ভর্তি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২১
জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে ঘর থেকে বেরোবেন না: গোপালগঞ্জবাসীকে আসিফ মাহমুদ
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মানিকগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা