দিনাজপুরে সরিষার ক্ষেতে মধু আহরণ

ভোজ্য তেলের মোট চাহিদা মেটাতে উত্তরের ‘শষ্য ভান্ডার’ দিনাজপুরে সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিকুল আবহাওয়া সত্ত্বেও এ অঞ্চলে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে সরিষার। মাটির সুরক্ষায় চাষ হচ্ছে এ সরিষার। সরিষা ক্ষেতে মৌ বাক্স বসিয়ে মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন, মৌখামারী উদ্যোক্তারা। মধু উৎপাদনে বাড়তি আয়ের পাশাপাশি ফলন বৃদ্ধির সহায়তা পাচ্ছেন কৃষক। মধু উৎপাদনে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের।
দিনাজপুরের পথে-ঘাটে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ রঙের সমারোহ। বিস্তৃর্ণ সরিষা ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে সারি সারি মৌবাক্স। মৌমাছির আনাগোনা, মধু আহরণ আর সরিষা ফুলের দৃষ্টি নন্দিত দৃশ্যে যেন জুড়িয়ে যায় প্রাণ।
গত বছর আশানুরূপ ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় এবার ভোজ্য তেলের মোট চাহিদা মেটাতে জেলায় ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে সরিষার চায়। দিনাজপুর জেলায় এবার প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এ অঞ্চলে এবার এ অঞ্চলে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরিষা ক্ষেত উদ্যোক্তাতারা মৌবাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন। বিজ্ঞানভিত্তিক মধু সংগ্রহে অনেকটা বাড়তি আয়ের পাশাপাশি সরিষার ফলন বৃদ্ধির সহায়তা পাচ্ছে কৃষক। এমনটাই বলছেন, মোসাদ্দেক মৌ খামারের স্বত্ত্বাধিকারী মোসাদ্দেক হোসেন।
মৌচাষি-উদ্যোক্ততা গবেষণা করা গবেষক দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক জানালেন, মাটির সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সরিষা চাষ লাভজনক। উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ ও সরিষা ক্ষেতে মধু উৎপাদন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা দেশের জন্যে কল্যাণ বয়ে আসবে।
দিনাজপুর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রওনাকুল ইসলাম জানান, বেকার যুবক ও উদ্যোক্তাদের আমরা সরিষা ক্ষেতে মৌ পালনের পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছি। বিস্তৃর্ণ সরিষা ক্ষেতে জেলার প্রায় ৪০টি মৌ খামারে চলছে, মধু উৎপাদনের কাজ। এরছর দেড়’শ মেট্রিক টন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এলএ/এসএ)

মন্তব্য করুন