তিন বছর পর শরিকদের সঙ্গে বসছেন আ.লীগ সভাপতি, বিষয় কী জানুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ১১:২৮ | প্রকাশিত : ১৫ মার্চ ২০২২, ০৮:২৩

তিন বছর পর ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে বসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হতে যাচ্ছে।

করোনা মহামারির কারণে শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে বসা হয়নি। তাই জোট নেতারা এই বৈঠকে আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রয়োজনে শেখ হাসিনার পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

জোটের নেতারা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল ও নেতাদের সক্রিয় করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কারণ করোনায় ১৪ দলের নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভাটা পড়ে আছে। ভেতরে ভেতরে মনোমালিন্যও চলছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠেয় গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে জোট নেতাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক, সামাজিক, নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা কী হবে- সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকৌশল চূড়ান্ত করাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। রাজনৈতিক পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও ১৪ দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। বর্তমান বাস্তবতা বা প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘১৪ দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে আমিও থাকব। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের আদর্শিক’ এই জোটের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ। তাই ১৪ দল ভাঙনের কোনো কারণ নেই। ১৪ দলের সঙ্গে ঐক্য এখনো অটুট আছে এবং থাকবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হবে। তবে কী কী বিষয় কথা হবে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।’

‘দীর্ঘদিন ধরে ১৪ দলের নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয়- এই বিষয়ে কোনো মতামত তুলে ধরবেন কি না’ এমন প্রশ্নে মেনন বলেন, ‘আশা করি সব বিষয় নিয়ে কথা হবে। তবে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় জোটের শরিকরা। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে শরিকদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। তবে সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় শরিক দলের কাউকে রাখা হয়নি। এরপর থেকেই নানা কারণে জোট শরিকদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। জোটের বৈঠক, দলের (শরিক দলসমূহ) বিবৃতি-বক্তৃতা এমনকি জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

যদিও ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের আদর্শিক’ এই জোটের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সব সময় দাবি ১৪ দলের ঐক্য এখনো অটুট আছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বেসামাল হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

ইরান দূতাবাসে সংরক্ষিত শোক বইতে জামায়াতের স্বাক্ষর

সরকারের সামগ্রিক আয়-ব্যয় ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে: খেলাফত মজলিস

গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে: ১২ দলীয় জোট

রাইসির মৃত্যু আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য মর্মান্তিক: মির্জা ফখরুল

জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘোষণা

জনপ্রিয়তার জন্য আনোয়ারুল আজীমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল: কাদের

সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর দেওয়া স্যাংশনে সরকার বিমূঢ় হয়ে গেছে: রিজভী

জোটের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হবে ১৪ দলের সভায়

বিএনপি যেন জনগণের পক্ষে না দাঁড়াতে পারে সেজন্য চলছে গ্রেপ্তার: মজনু

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :