ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রোহানকে খুন করেন কয়েক শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১৪:৩২| আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১৪:৪১
অ- অ+

গত ৩১ মার্চ খুলনার ফুলতলা থানার মোজাম মহলদার (এমএম) কলেজের মাঠে শিক্ষার্থী সৈয়দ আলিফ রোহানকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনার কারণ জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। সংস্থাটি বলছে, বাসার পাশের একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানানোয় রোহানকে খুন করেন কয়েক শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুরে সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর।

নিহত সৈয়দ আলিফ রোহান খুলনা জেলার ফুলতলা থানার পায় গ্রাম কসবা গ্রামের সৈয়দ আবু তাহেরের ছেলে। তিনি ফুলতলা এম এম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের (সমাজকর্ম) বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সিআইডি জানায়, ৩১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার সময়ে এম এম কলেজের মাঠে তাছিন মোড়ল, সাব্বির ফরাজি, দীপ্ত সাহাসহ পাঁচ থেকে ছয়জন রোহানের উপরে অর্তকিত হামলা করেন। তারা রোহানকে কিলঘুষি মেরে গুরুতর আহত করেন। পরে তাছিন মোড়ল তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে রোহানের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করেন। এতে রোহান গুরুরত আহত হন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত রোহানের বাবা সৈয়দ আবু তাহের ফুলতলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে কলেজের শিক্ষক,-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ৩ এপ্রিল ঢাকা খুলনা মহাসড়কের একটি মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

পরে এই ঘটনায় সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধরের নেতৃত্বে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রি-ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী তাছিন মোড়ল ও সাব্বির ফরাজিসহ বেশ কয়েজন জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাধর বলেন, সিআইডির এলআইসি শাখার একটি দল ঢাকার আশুলিয়া থানার গাজীরচট গ্রাম থেকে তাছিন মোড়ল ও সব্বির ফরাজিকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাধর বলেন, রোহানের বাড়ির পাশে রহমানিয়া এলিমেন্টারি স্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে শান্ত গাজী, তাছিন মোড়ল সাব্বির ফরাজিসহ আরও কয়েকজন গিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। তখন রোহান এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা রোহানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে ৩১ মার্চ তারা এম এম কলেজের উত্তর পাশের গেঠের সামনে কলেজের মাঠে রোহানকে একা পেয়ে কিলঘুলি মারেন এবং তাছিন মোড়ল তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান, খায়রুল আমিন, সহকারী পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত ও রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০৬ এপ্রিল/এএ/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ: মোটরসাইকেল ও অফিস ভাঙচুর, হাসপাতালে ভর্তি ৫
বিএনপি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়: আমিনুল হক 
অভ্যুত্থানের পর সরকারের কর্তব্য ছিল শিক্ষাখাতের সংস্কারে মনোযোগ দেওয়া: সাকি
৫ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা