আল-আমিন কেমিক্যালের মালিকানায় যাচ্ছে সাকিবের দুই প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩১ মে ২০২২, ১৬:৫০| আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১৬:৫৮
অ- অ+

আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কিনতে যাচ্ছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোমবার ছয়টি শর্তে মোনার্ক মার্টকে আল-আমিন ইন্ডাস্ট্রিজের ৪৮ শতাংশ বা ২৪ লাখের বেশি শেয়ার কেনার অনুমতি দিয়েছে।

আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বর্তমানে ওভার-দ্য-কাউন্টার তথা ওটিসি বাজারে ব্যবসা করছে। আর মোনার্ক মার্ট ও মোনার্ক এক্সপ্রেস লিমিটেডের মালিকানায় আছেন সাকিব আল হাসানসহ আরও পাঁচজন।

মোনার্ক মার্টের নির্বাহী জাভেদ এ মতিন জানিয়েছেন, আল-আমিন কেমিক্যালের ৪৮ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে মোনার্ক মার্টের ২ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মোনার্ক এক্সপ্রেস ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ মালিকানা থাকবে।

আমিনুল ইসলাম সিকদার ও মো. খায়রুল যৌথভাবে ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করবেন। পাশাপাশি এএফএম রফিকুজ্জামান ১০ শতাংশ, মাশুক আলম ৬ শতাংশ, মো. হুমায়ুন কবির ২ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মুন্সি শফিউদ্দিন ৮ দশমিক ১৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করবেন।

বিক্রেতারা হলেন, আল-আমিন কেমিক্যালের স্পন্সর পরিচালক সৈয়দ আশিক (১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ), সৈয়দ আতিকা (১৫ দশমিক ৯৭৫ শতাংশ) এবং তাজাকা তানজিম (১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ)।

বিএসইসির শর্ত অনুসারে স্পন্সর পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে মোট শেয়ারের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করবেন।

আল-আমিন কেমিক্যাল কোম্পানি ২ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারণ করা নতুন শেয়ারহোল্ডারদের একটি পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে গঠিত। পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানিটিকে মূলধন বাড়াতে দেওয়া হবে না।

মালিকানা হস্তান্তর করার তিন মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত ক্রেতারা কোম্পানির উৎপাদন শুরু করবে এবং ব্যাংকিং কার্যক্রমসহ সমস্ত মুলতুবি বিষয়গুলি চালু করতে পারবে।

প্রস্তাবিত ক্রেতা বা শেয়ারহোল্ডারদের কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোম্পানিতে নতুন তহবিল অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন এবং বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে সেই তহবিলের বিপরীতে মূলধন ইস্যু করা হবে।

এই স্থানান্তর কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোম্পানির সমস্ত শেয়ার ডিমেটেরিয়ালাইজ করা হবে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্টক মার্কেট নিয়ন্ত্রক ওটিসি বাজার বাতিল করে এবং ৪১টি ওটিসি কোম্পানিকে দেশের স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্ল্যাটফর্ম এবং বিকল্প ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) পাঠায়। এছাড়াও আরো ২৯টি ওটিসি কোম্পানিকে স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত করা হবে।

২০০৯ সালে বিএসইসি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান ট্রেডিং বোর্ড থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির সঙ্গে ওটিসি বাজার চালু করে।

আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজসহ বন্ধ থাকা ষোলটি কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরিত করা হবে। শর্তগুলির মধ্যে আছে, তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা জমা দেওয়া, উৎপাদন কার্যক্রমের সূচনা এবং প্রয়োজনীয় শেয়ার স্থানান্তর এবং বিএসইসি (ক্ষুদ্র মূলধন কোম্পানির মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারী অফার) নিয়ম ২০১৮ তে সম্মতি স্থাপর করা।

আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা ফরিদপুরের বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে অবস্থিত। কোম্পানিটি ২০০২ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩১মে/এসএটি/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভারতের পুশইন ও পানি আগ্রাসনের ব‍্যাপারে সোচ্চার ও সতর্ক থাকতে হবে: মঞ্জু
সেন্টমার্টিনে কোস্ট গার্ডের ৭ দিনব্যাপী সেবামূলক কর্মসূচি
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
বনানীর সিগনেচার ও হেজ সিসা লাউঞ্জে অভিযান, তালাবদ্ধ অন্ধকার রুমে তরুণীদের সঙ্গে ছিল বিদেশিরাও!
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা