রায় যার পক্ষেই যাক সাধুবাদ জানাব: জয় চৌধুরী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২২, ১৪:১১
অ- অ+

ঢালিউডের অন্যতম সুদর্শন নায়ক জয় চৌধুরী। ২০১২ সালে ‘এক জবান’ সিনেমাটির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। এক দশকের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু ভালো সিনেমায়। এর মধ্যে ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আজব প্রেম’ সিনেমাটি তাকে বেশ পরিচিতি এনে দেয়। জয়কে সেখানে এক ধনি ও ব্যর্থ প্রেমিকের চরিত্রে চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখির বিপরীতে দেখা যায়।

২০১৭ সালে মালেক আফসারী পরিচালিত ‘অন্তর জ্বালা’তেও এই নায়কের অভিনয় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে তিনি চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ছোট ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। এখন তার ব্যস্ত শিডিউল। তারই ফাঁকে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বর্তমানের নানা বিষয় নিয়ে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে কথা বলেন জয় চৌধুরী। আলাপচারিতায় ছিলেন লিটন মাহমুদ আরিফ হাসান

কেমন আছেন?

আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালো আছি।

বর্তমানে কী কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন?

সম্প্রতি ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ সিনেমার ডাবিং শেষ করলাম। ‘ট্রাপ’ সিনেমার ডাবিং ছিল। এছাড়া আরও কিছু সিনেমার পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ করেছি। এরমধ্যে আমার পারিবারিক কিছু প্রোগ্রাম আছে। গত চার-পাঁচ মাস পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। তাই ৪ জুন পর্যন্ত কিছু ফ্যামিলি প্লান আছে।

ঈদ উৎসব শেষে শুটিংয়ে ফিরেছেন কবে?

এখনো শুটিং শুরু করিনি। তবে কয়েকটা দিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ৬ জুন থেকে শুটিংয়ে ফিরব, ইনশাআল্লাহ। সেদিন থেকে ‘ট্রাপ’ সিনেমার শিডিউল দেওয়া আছে। আরও কিছু কাজ আছে, যেগুলো জুন থেকেই শুরু হবে। এছাড়া নতুন দুটি সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। সেগুলোর কাজও শিগগির শুরু করব।

মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর অগ্রগতি কতদূর?

আমার অভিনীত নয়টি সিনেমার সেন্সর হয়ে আছে। করোনার জন্য লম্বা একটি সময় কোনো সিনেমা রিলিজ হয়নি। যার কারণে সিনেমাগুলো আটকে গেছে। এর মধ্যে কোরবানির ঈদে ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা আছে। বাকিগুলো ভালো সময় দেখে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তির দিন ঠিক করা হবে। সিনেমা মুক্তির বিষয়টি তাদের হাতে।

পরপর দুই ছবিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

অভিজ্ঞতা অনেক ভালো। কারণ, সিনিয়র এবং জনপ্রিয় আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করলে অনেক কিছু শেখা যায়। অপু বিশ্বাসের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কও অনেক ভালো। তাই তার সঙ্গে কাজ করাটা সবসময়ই উপভোগ করি।

শোনা যায় ডিপজলের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন। তার সঙ্গে পরিচয় কীভাবে?

জ্বী, ২০১২ সালে উনিই (ডিপজল) আমাকে এফআই মানিক স্যারের ‘এক জবান’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আমি তার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। তার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। সেভাবেই পরিচয়। আমি তাকে ‘চাচ্চু’ বলে ডাকি।

১০ বছর হলো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। নিজেকে কতটা সফল মনে করেন?

একদিক দিয়ে একেবারেই সফল না। কারণ, রেগুলার কাজ করতে পারিনি। মাঝে দুই বছর ঢাকার বাইরে ছিলাম। সে সময় একটা হযবরল অবস্থা ছিল। তবে এখন নিয়মিত কাজ করছি। ভালো ভালো কাজ হাতে আসছে। চেষ্টা করছি মন দিয়ে কাজ করার। আরেক দিকে সফল। সেটি হলো, চলচ্চিত্রে যেসব মানুষদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি, স্বপ্ন গড়েছি, তাদের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। তারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। পাশাপাশি দর্শকদেরও ভালোবাসা পেয়েছি। আমার মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো হলে গিয়ে দেখেছি। সেখানে দেখেছি, একজন আর্টিস্টকে তারা কতটা ভালোবাসেন।

আগামী কয়েক বছরে নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান?

প্রতিটি আর্টিস্টেরই স্বপ্ন থাকে, সে দর্শকের ভালোবাসা অর্জন করবে। এমন একটা প্লাটফর্মে যাবে, যেখান থেকে তার জন্য দর্শকের ভালোবাসাই শ্রেয় হয়ে উঠবে। প্রতিটি আর্টিস্টেরই স্বপ্ন সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়া। কেউ সেটা পারে, কেউ পারে না। তাই একজন আর্টিস্ট এবং ভালো মানুষ হিসেবে চলচ্চিত্রের মানুষ এবং দর্শকদের মনিকোঠায় জায়গা করে নিতে চাই। ক্যারিয়ারের শেষপর্যন্ত এটাই আমার লক্ষ্য।

অভিনয়ের ক্ষেত্রে কাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে মানেন এবং কেন?

এক্ষেত্রে আমি দুজনের কথা বলব। আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ভাই এবং প্রয়াত সালমান শাহ ভাই। ফারুক ভাইয়ের অভিনয় আমার অনেক ভালো লাগে। ‘চিনিবিবি’ ছবিতে আমি সম্পূর্ণ তার মত অভিনয়ের চেষ্টা করেছি। এছাড়া বুঝতে শেখার পর যার ছবি দেখেছি, তিনি সালমান শাহ ভাই। ওনার কাজ অনেক ভালো লাগে। আমি সবসময় ওনাকে ফলো করার চেষ্টা করি।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জিতলেও কোনো কার্যক্রমে আপনি নেই। কারণ কী?

গত চার-পাঁচ মাস অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যে আমার দুটি সিনেমার কাজ শেষ হয়েছে। ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ ছবির কাজ একটানা শেষ করতে হয়েছে। তারপর শুরু হয়েছে ‘ট্রাপ’ এর কাজ। পুরাতন কিছু সিনেমার ডাবিংও ছিল। সব মিলিয়ে সময়ের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারিনি। তবে ফ্রি থাকলে শিল্পী সমিতির সব প্রোগ্রামগুলোতে অবশ্যই অংশগ্রহণ করব।

সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতের রায় যদি নিপুণের পক্ষে যায়, তবে ব্যক্তিগতভাবে আপনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন?

অবশ্যই আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা জানাব। রায় যার পক্ষেই যাবে তাকেই সাধুবাদ জানাব। কারণ, আদালতের রায় উপেক্ষা করা কোনো নাগরিকেরই উচিত নয়। আমার বেলায়ও তাই। সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে যিনি বসবেন, তার সঙ্গে যতটুকু পারি কাজ করব। আমি আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জিতেছি। এই পদে থেকে যতটুকু কাজ করা যায় করে যাবো। আমার দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই।

সময় দেওয়ার জন্য ঢাকাটাইমসের পক্ষ থেকে অনেক ধন্যবাদ

ঢাকাটাইমসকেও ধন্যবাদ। আপনারা সবাই দোয়া করবেন, যেন অভিনয় দিয়ে সকলের ভালোবাসা অর্জন করতে পারি।

(ঢাকাটাইমস/০১ জুন/এএইচ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টয়োটার ব্যবসা হারাচ্ছে নাভানা?
সারজিস বনাম নওশাদ: ভোটে কার পাল্লা ভারি?
মনোহরদীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা গণধোলাইয়ের শিকার
গণভবন জয় করেছি, এবার জাতীয় সংসদও জয় করব: নাহিদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা