সংবাদের সঙ্গে ভিডিও ক্লিপ দিলে নিয়মনীতির ব্যত্যয় হয় না: তথ্যমন্ত্রী

সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপ দিলে নিয়মনীতির ব্যত্যয় হয় না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তবে আইন অনুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সন ও সংবাদপোর্টালগুলো টক শো ও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করতে পারে না বলেও জানান তিনি।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল যুগে সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপ দিলে আমি মনে করি সেটিতে নিয়মনীতির ব্যত্যয় হয় না, কিন্তু একেবারে টক শো কিংবা নিউজ বুলেটিন প্রচার করা নীতিমালা অনুমোদন করে না।
মন্ত্রী নীতিমালার গেজেটটি তুলে ধরেন বলেন, সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো) নেতৃবৃন্দ আমাদের নজরে এনেছেন যে, কিছু পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও সংবাদপোর্টাল অনলাইনে টক শো, এমন কি কেউ কেউ নিউজ বুলেটিনও প্রচার করছে যার কোনো অনুমতি নেই। আমরা আইনকানুন ঘেঁটে দেখেছি, অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের দুই, চার ও ছয় উপধারার বিধান অনুসারে তারা এ ধরনের কিছু প্রচার করতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা কোনো তদন্ত ছাড়াই পত্রপত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোর নিবন্ধন দিয়েছিলাম এই শর্তে যে, পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ পায় সেটিই অনলাইনে প্রকাশ পাবে, সেটিও ভিন্ন হওয়ার কথা নয়।
এটকো এ বিষয়ে তাদের উত্থাপিত মৌখিক আপত্তি লিখিত আকারে দিলে আমরা আইনের ধারা-উপধারা উল্লেখ করে আমরা সংশ্লিষ্টদের জানাবো- বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপি ও কিছু সংস্থার নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি আমাদের সরকারের একনাগাড়ে চতুর্দশ বাজেট পেশ, এর আগে আরও ১৩টি বাজেট পেশ হয়েছে। গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে যখনই বাজেট পেশ করা হয়েছে, তখনই দেখা গেছে কিছু চেনা মুখ, চেনা সংগঠন সবসময় এই বাজেট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে।’
‘আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে যে বাজেট পেয়েছিলাম সেটি ৮০ হাজার কোটি টাকার কম ছিল। এখন সেই বাজেট আট থেকে নয়গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকায়। মানুষের মাথাপিছু আয় ৬শ’ ডলার থেকে প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ১৩ বছরে ২৮শ’ ২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এবং অতিদারিদ্র্যের হার প্রায় ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি বাস্তবতা। কিন্তু প্রতিবার বাজেটের পর চিহ্নিত কিছু ব্যক্তিবিশেষ, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা কখনই প্রশংসা করেনি। তাহলে এই সাড়ে ১৩ বছরে দেশটা এতো এগিয়ে গেল কীভাবে—প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।
(ঢাকাটাইমস/১২জুন/কেআর/ইএস)
সংবাদটি শেয়ার করুন
গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
গণমাধ্যম এর সর্বশেষ

ঢাকা টাইমস সম্পাদকের আরোগ্য কামনায় দোয়া

সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনাকে সবসময় স্বাগত জানাই: আইজিপি

শেয়ার মার্কেট ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন

মিরর ম্যাগাজিনের ২০২২ বর্ষসেরা রেজওয়ানা এলভিস

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ডিআরইউ’র ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিবহন মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ রুবেলের মায়ের ইন্তেকাল

ইতালির ভেনিসে ঢাকা টাইমসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারে ‘গ্রিন টেলিভিশন’

সাংবাদিক আরিফ সাওনকে হয়রানির নিন্দা ডিআরইউর
