মিলনের রক্তে পাওয়া গণঅভ্যুত্থান: মেডিকেল ছাত্রদের ভূমিকা

ড. ফরহাদ আলী খান
| আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১২:৩৪ | প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১২:০১

২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস। বিএমএর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম খান মিলন ১৯৯০ সালের এইদিনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিঝরা উত্তাল সময়ে বিএমএ মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সাথে রিকশায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে (তৎকালীন আইপিজিএমআর) পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশে যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদের পেটোয়া বাহিনীর বুলেটে নির্মমভাবে নিহত হন।

ডা. মিলন তৎকালীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং কলেজের বায়োকেমিস্ট বিভাগের প্রভাষক ছিলেন এবং ছাত্রজীবনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ (ঢামেকসু) এর ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এরশাদের সামরিক শাসন জারির শুরু থেকেই মেডিকেল কলেজগুলো স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। ৯০ সালের মাঝামাঝি সামরিক শাসক এরশাদ প্রণীত গণবিরোধী স্বাস্থ্য নীতির প্রতিবাদে বিএমএর সাথে যুগপৎ ভাবে বাংলাদেশের সকল মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্র সংসদ এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে প্রতিটি মেডিকেল কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি ও জিএস এবং ডেন্টাল কলেজ থেকে দুজনকে নিয়ে আমরা সর্বদলীয় মেডিকেল ও ডেন্টাল ছাত্র ঐক্য পরিষদ গঠন করে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিলাম।

আমাকে উক্ত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস সারোয়ার রোমেলকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়। এছাড়া আন্দোলনকে সফলভাবে পরিচালনা করার লক্ষে সকল মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে সকল ছাত্র সংগঠন ও ছাত্র সংসদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছিল সর্বদলীয় মেডিকেল ও ডেন্টাল ছাত্র ঐক্য পরিষদের শাখা কমিটি।

বিএমএ এবং সর্বদলীয় মেডিকেল ও ডেন্টাল ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে চিকিৎসক সমাজের ঐক্যবদ্ধ চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতার এক পর্যায়ে ডা. মিলন হত্যার প্রতিবাদে সর্বদলীয় মেডিকেল ও ডেন্টাল ঐক্য পরিষদ এবং বিএমএর নেতৃত্বে বাংলাদেশের মেডিকেল ছাত্র সমাজ চিকিৎসক সমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।

ডা. মিলন হত্যার প্রতিবাদে ও এরশাদের পতনের দাবিতে সর্বদলীয় মেডিকেল ও ডেন্টাল ছাত্র ঐক্য পরিষদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীবৃন্দ, সকল শিক্ষকের তাৎক্ষণিক পদত্যাগের সিন্ধান্ত ঘোষণার দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেডিকেল শিক্ষক সমিতি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ঘেরাও করে রাখে। ঘেরাওয়ের এক পর্যায়ে বাংলাদেশের সকল মেডিকেল শিক্ষকের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র শিক্ষকদের এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। উক্ত মিছিলে যোগ দেন আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা। প্রেসক্লাবের সামনে আমার সভাপতিত্বে সর্বদলীয় মেডিকেল ও ডেন্টাল ছাত্র ঐক্যের সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ ও মেডিকেল শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কবির উদ্দিন আহমেদ দেশের সকল মেডিকেল শিক্ষকের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বিএমএর নেতৃবৃন্দ, তৎকালীন কেন্দ্রীয় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য ও পেশাজীবী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রেসকাবের বিক্ষোভ সমাবেশে যোগদান করেন।

বাংলাদেশের আটটি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়। বিএমএ বাংলাদেশের সকল চিকিৎসকের পদত্যাগ এবং বাংলাদেশের সকল হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। সবগুলো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এবং ছাত্রসংসদ লাগাতার বিক্ষোভ, ঘেরাও ও সমাবেশ আয়োজন করে।

আমাদের দাবির পাশাপাশি, বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে আন্দোলন তুঙ্গে উঠে। ডা. মিলনের মৃত্যুসংবাদের খবরে সারা বাংলাদেশে চেতনার বিস্ফোরণ ঘটে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গণদাবি গণঅভুত্থানের দিকে পরিচালিত হয়। ভীত সন্ত্রস্ত এরশাদ কারফিউ জারি ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। জনগণ ঘৃণাভরে সেই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে। রাত্রেই কারফিউ ও জরুরি আইন অমান্য করে মানুষের ঢল নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে।

ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস পরিণত হয় আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে। এ ক্যাম্পাসে চির নিদ্রায় শায়িত ডা. মিলনের সমাধিস্থলে প্রতিদিন মানুষের ঢল নামতে থাকে। প্রতিদিন ছাত্র, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ সকল পেশার মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশে হতে থাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্বরে।

অন্যদিকে সকল হাসপাতালে ধর্মঘট বাস্তবায়নে ছাত্র-চিকিৎসকের সমন্বয়ে দল বেঁধে পাহারা দেয়া হয়। যাতে স্বৈরাচারী সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী অবস্থান নিতে না পারে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল ক্যাম্পাস থেকে এরশাদের পেটোয়া বাহিনীকে বিতাড়িত করা হয় এবং বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে আন্দোলনকারী ছাত্রশিক্ষকদের উপর সরকারি বাহিনীর হামলা প্রতিহত করা হয়।

দেশের সকল রাজনৈতিক জোট ও পেশাজীবী সংগঠনসমূহ চলমান আন্দোলনে শরিক হয়ে এরশাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার হরতাল ডাক দেয়। ১৫ দলীয় ঐক্যজোট নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, ৫ দলীয় জোট ও ৭ দলীয় জোটের ঐক্যবদ্ধ নির্দেশে লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি পালিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীরাও আন্দোলনে শরিক হয়। বিএমএ মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন জোট ও সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে মেডিকেল ডেন্টাল ছাত্র ঐক্য পরিষদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।

৩রা ডিসেম্বর রাতে সামরিক সরকার নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে শেষ চেষ্টা চালায়। সকল সংগঠন ও জোট এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে রাস্তায় নেমে আসে। উপায়ন্তর না দেখে স্বৈরাচারী এরশাদ ৪ঠা ডিসেম্বর রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়।

ওইদিন রাত্রে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কন্ট্রোল রুমে ছিলাম। এরশাদের পদত্যাগের সংবাদে আমরা শত শত মেডিকেল ছাত্র শিক্ষক বিজয় মিছিল নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে প্রেস ক্লাবের সামনে যাই। আমাদের বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রেস ক্লাব পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

নব্বইয়ের গণআন্দোলন ও ডা. মিলন হত্যার প্রতিবাদে দেশের আটটি মেডিকেল ও একটি ডেন্টাল কলেজ ছাত্র সংসদ ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ভূমিকা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রসংসদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ভিপি ফরহাদ আলী খান, জিএস আবেশ কুমার ভট্টাচার্য্য, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবুল হাসনাত মিল্টন, বহিঃক্রীড়া সম্পাদক মশিউর রহমান, বার্ষিক ক্রীড়া সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাহিত্য সম্পাদক ইশতিয়াক মান্নান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাসান মাহবুব কাজল এবং অন্তঃক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হুদা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া ছাত্রসংসদের নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ রাজশ্রী রায়, আব্দুন নূর তুষার, আরিফুল ইসলাম, বিলকিস ফেরদৌস আরা, সামসুন নাহার ঝুমা, পারভেজ আহমেদ সুমন, মুস্তাফিজুল আজিজ জামি, শেখ মাহফুজুল হক, জিয়া হাসান তুলিন, শৈবাল দাস, ফাওয়াজ হোসেন, এম এ মুহিত প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম কাউসারুজ্জামান, শফিকুল চৌধুরী শামীম, দেবেশ ভট্টাচার্য্য, জুলফিকার হাসান, আসিফ ইকবাল, শায়েখ খান, আশরাফ ইসলাম, মহিবুল আবরার, আরিফুর রহমান, ইমরোজ মোহিত, জহিরুল করিম, মহিউদ্দিন রাহাত, মাহফুজুল্লাহ চিশতী, আরিফ মাহমুদ, কামরুল হাসান, মোস্তফা জামান বাবুল, বশির উদ্দিন, ফিরোজ আহমেদ, বশির আহমেদ বাদল, মাহবুব শিবলী, হাসানুর রহমান, মুশফিকুর রহমান বিটু, আব্দুল আলিম ইমু, আনোয়ারসহ অসংখ্য নেতাকর্মী, ছাত্রইউনিয়নের ইমরান আলম, দেবাশীষ দে দেবু, গোলাম আযম, জাসদ ছাত্রলীগের দিলীপ দাস, আশেকুল ইসলাম হিমু, রাশেদুজ্জামান পাপ্পু, মুনির ইসলাম, ছাত্রদলের কাজী সাইফুদ্দিন বেন্নুর, জাকিউল ইসলাম সুমনসহ আরো অনেকেই ভূমিকা রাখেন।

প্রথম বর্ষের ছাত্র থেকে শুরু করে সদ্য পাশ করা ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ, সকল চিকিৎসক-শিক্ষক এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সর্বস্তরের কর্মচারীবৃন্দও এ আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ করে মিলন হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অধক্ষ অধ্যাপক কবির উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান খানের ভূমিকা ছিল আমাদের জন্য প্রেরণাদায়ক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ ছাড়াও অন্যান্য মেডিকেল কলেজের নেতৃবৃন্দ সর্বদলীয় মেডিকেল ছাত্র ঐক্যের সদস্য হিসেবে যেমন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি কায়সার নসরুল্লাহ খান, প্রোভিপি সামিউল ইসলাম সাদি, জিএস সারোয়ার রোমেল; ময়মনসিংহের ভিপি সালাহউদ্দিন শাহ, জিএস আমিনুল ইসলাম লিটন, বরিশালের ভিপি তারিক মেহেদী পারভেজ, জিএস মুহিতুর রহমান, সম্পাদক মিজানুর রহমান কল্লোল; চট্টগ্রামের ভিপি নাজমুল ইসলাম মুন্না, জিএস তিতাস মাহমুদ, ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিব হাসান শিল্পী; সিলেটের ভিপি সাব্বির খান; রংপুরের ভিপি মামুনূর রহমান, ছাত্রলীগ সভাপতি আবু রায়হান, রাজশাহীর প্রো-ভিপি চিত্তরঞ্জন দাস, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের মোশারফ হোসেন মুসাসহ অগণিত ছাত্রনেতা কর্মী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

সেই আন্দোলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং সকল মেডিকেল কলেজের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। দেশের আটটি মেডিকেল কলেজের সবগুলি ছাত্রসংসদে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব, সর্বদলীয় মেডিকেল ছাত্র ঐক্য পরিষদে ও বিএমএতে আমাদের নেতৃত্ব থাকায় মুজিবাদর্শের সৈনিকদের ভূমিকা ছিল অগ্রগামী। প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ছিল আন্দোলন ও প্রতিবাদের দূর্গ। নাতিদীর্ঘ এ আলোচনায় সবার নাম সংকুলান হচ্ছে না। পরবর্তীতে বিস্তারিত লেখার আশা রইলো।

বাংলাদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে চিকিৎসক সমাজের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রবৃন্দ এবং ছাত্র সংসদের উদ্যোগেই নির্মিত হয়েছিল প্রথম শহীদ মিনার। ঠিক তেমনি এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং ঢামেকসুর প্রাক্তন নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন নিজের জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছিলেন স্বৈরাচারমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা।

পঁচাত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল একের পর এক সামরিক শাসন। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে দীর্ঘ পনেরো বছর পর অবসান হয়েছিল সেই স্বৈরাচারী সামরিক শাসনের।

ডা. মিলন বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন এবং যুগ যুগ ধরে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। মিলন দিবসে স্মরণ করি সকল মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের সকল সহযোদ্ধাদের, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও মিলন ভাই হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন এবং ৯০ এর গণ আন্দোলনকে সফল করেছিলেন।

আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি—বাঙালী জাতির ইতিহাসের অন্যতম এই শ্রেষ্ঠ সন্তান ডা. মিলনকে। তার আত্মত্যাগের কারণেই স্বৈরাচার নিপাত যায়, গণতন্ত্র মুক্তি পায়।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, সুইডেন আওয়ামী লীগ, সাবেক ভিপি, ঢামেকসু ১৯৯০-৯১, সাবেক আহ্বায়ক, নব্বইয়ের গণআন্দোলনকালীন সর্বদলীয় মেডিকেল ও ডেন্টাল ছাত্র ঐক্য পরিষদ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :