বিএনপির ২৭ দফা ও বাস্তবতা

মো. সাখাওয়াত হোসেন
 | প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:৩৬

বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফার ‘রেইনবো নেশন’ গড়ার প্রস্তাবকে যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিদের সঙ্গে ঐক্যের কালো দলিল বলে আখ্যায়িত করেছেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, রেইনবো নেশনের অর্থ হচ্ছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের খুনি অপরাধীদের আরেক দফা রাষ্ট্র ও সমাজের স্বীকৃতিদান। যারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছেন তারা কোনোভাবেই প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তি নন।

১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে বিএনপির রাজনীতি জনগণ অতীতে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারও করবে। তাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলনে শরীক হয়েছে তারা আমাদের অজানা নয়। খুবই ক্ষুদ্র স্বার্থে এক হয়েছেন। বিএনপি বর্তমান সরকারের মৌলিক সংশোধনের কথা বলে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখলকে নিষ্কণ্টক করতে চায়।

বিএনপির সঙ্গে কয়েকটি দলের যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় বিশ্বাসী বা প্রগতিশীল হলে জামায়াতের সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করত না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় তারা প্রগতির ধারার মধ্যে আছে বলে মনে করি না। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘রেইনবো নেশন হলো রাজাকার, জঙ্গি, জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের ঐক্যের কালো দলিল। এই কালো দলিল যারা সমর্থন করছে তারা আর যাই হোক বাম বা প্রগতিশীল ঘরানার লোক হতে পারে না। তারা বিচ্যুত।

২৭ দফা ও ১০ দফা কার্যত বাহাত্তরের সংবিধানকে বানচাল করার সুকৌশল প্রস্তাব। যারা এটা সমর্থন করে তারা গণতান্ত্রিকও না, প্রগতিশীলও না। জামায়াত, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে রাজনৈতিক পার্টনারশিপ থাকবে ততদিন পর্যন্ত ২৭ কেন, ২৭০ দফা দিলেও তা আমলযোগ্য নয়।

বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে—সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, জাতীয় সমঝোতা কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংশোধন, জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন, মিডিয়া কমিশন, ন্যায়পাল নিয়োগ, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার মূলনীতির ভিত্তিতে ধর্ম পালনে পূর্ণ অধিকার ও পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান, আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণ ও সুষম উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি।

এ ছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল ও অপ্রয়োজনীয় কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় বন্ধ, বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া, দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত, যুগোপযোগী ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করা, ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকারগুলোকে অধিকার স্বাধীন ও শক্তিশালী করা, নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের তালিকা প্রণয়ন ও যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ, শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য দূর করে নিম্ন ও মধ্যপর্যায়ে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা-কারিকুলামকে প্রাধান্যসহ জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই নীতির ভিত্তিতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন ও জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ, শ্রমিকদের প্রাইস-ইনডেক্স বেজড ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা ও শিশুশ্রম বন্ধ করা এবং কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি ‘জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

ওপরের বিষয়গুলো রাজনৈতিক বক্তব্য কিনা সেটি রাজনৈতিক দলগুলোই মূল্যায়ন করবে, কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে; বিএনপির তাদের ঘোষিত দফায় বলেছে, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ বিষয়টির প্রতিউত্তরে যা বলতে হয় সেটি হচ্ছে, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশের রাজনীতিতে জ্বালাও-পোড়াও এর আবির্ভাব ঘটায়। এর রেশ ধরে ৪১৯টি ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ সদস্যসহ নিহত হয় ৪৯২ জন, আহত হয় প্রায় আড়াই হাজার।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি জোটের হরতাল অবরোধে শত শত যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়। পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয় অসংখ্য মানুষ। পবিত্র উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায়ও আগুন দেয়া হয়, ক্ষতিগ্রস্থ হয় লাখ লাখ বৃক্ষরাজি। নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং অফিসারসহ হত্যা করা হয় ২৬ জন নিরীহ মানুষকে। সারাদেশে ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সরকারের এক বছর পূর্তির দিনও বিএনপি জামায়াত তান্ডব চালায় বাস, ট্রেন, লঞ্চ, সরকারি স্থাপনাগুলোতে। পেট্রোল বোমায় ২৩১ জনকে হত্যা করা হয়। প্রায় ১২শ লোক মারাত্মকভাবে আহত হয়। অর্থাৎ এক বিভীষিকাময়, অস্থিতিশীল ও বৈরী পরিবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ভয়ের সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হতে হয়েছিল।

ওই সময়ের হরতাল অবরোধে হতাহতের পাশাপাশি বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে বাংলাদেশ। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) করা হিসাব থেকে জানা যায়, এক দিনের হরতালে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর তথ্যানুযায়ী, বিএনপি জোটের টানা হরতাল-অবরোধের কারণে দেশে উৎপাদনের ক্ষতি হয়েছে চার হাজার ৯০০ কোটি টাকা, যা ঐ সময়ের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫৫ শতাংশ। ৮১ দিনের হরতাল-অবরোধের ওপর ভিত্তি করে ১১টি খাতের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এই গবেষণা করেছে সিপিডি। এতে উল্লেখ করা হয়, তিন মাসের রাজনৈতিক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পোশাক খাত। এ সময় পোশাক খাতে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা হরতাল-অবরোধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে আলাদাভাবে গবেষণা করেছে বহুজাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাংকও। ওয়াশিংটনভিত্তিক এ সংস্থাটি বলছে, জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের সংঘাত ও সহিংসতায় উৎপাদনের ক্ষতি হয়েছে ২২০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ১৬০ কোটি টাকা।

দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না, বিএনপির রূপরেখাতে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখিত। তবে যে বিষয়টি বাংলার মানুষ জানতে চাইবে সেটি হল—দুর্নীতিতে বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ইমেজ ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটির হিসাব নিরূপণ করে এবং জবাবদিহিতার মাধ্যমেই বিএনপিকে জনগণের সামনে আসতে হবে। ওইসব আমলনামার হিসাব বিএনপি নেতৃবৃন্দ কি আদৌ দিতে পারবে সেটি কিন্তু বিবেচনার বিষয়।

পরবর্তীতে, ২৭ দফায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বেশ কিছু কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু কমিশন কাদের মাধ্যমে কোন প্রক্রিয়ায় গঠিত হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে মানুষের নিকট তাদের মনোযোগ প্রবণতার আশায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ যে রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন সেটি হালে কতটুকু যৌক্তিকতা পাবে সেটি হয়ত সময়ই বলে দিবে।

বিএনপির রূপরেখায় বলা হয়েছে—সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়ে সমগ্র বিশ্ববাসী অবগত এবং হামলার ঘটনায় জজ মিঞা নাটক মঞ্চস্থ করার বিষয়টি সকলের গোচরীভূত। পরবর্তীতে তদন্তের অগ্রগতিতে গ্রেনেড হামলা মামলার পূর্নাঙ্গ রায় বের হয় এবং হামলাটি যে রাষ্ট্রীয় মদদে সংঘটিত হয়েছিল সেটিও অত্যন্ত স্পষ্ট।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল বিএনপি এবং হামলার তীব্রতা এতই ছিল যে, এতে ২৪ জন মানুষ মারা যায় এবং আহত হয় প্রায় পাঁচ শতাধিক আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। গ্রেনেড হামলার তীব্রতা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকেই। সে কারণেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিএনপি অ্যাকশনে যাবে সে রূপরেখা সাধারণ জনগণ তেমন আমলে নিবে বলে মনে হচ্ছে না। দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলার ঘটনা ও এর ফলে হতাহতদের আকুতি বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিল, এ ঘটনাও বিএনপির আমলেই হয়েছিল। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার ঘটনাও বিএনপির সময়েই সংঘটিত হয়েছিল।

আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে দেশের উত্তরবঙ্গে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ যে তান্ডবলীলা চালিয়েছিল সে ইতিহাস বাংলার মানুষ ভুলে নাই। উত্তরবঙ্গে ঐ সময়ে বিএনপির মন্ত্রীদের সঙ্গে জঙ্গি নেতাদের যোগাযোগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বিনিময় জঙ্গিবাদকে প্রলুব্ধ করার থেকে কোন অংশে কম নয়। কাজেই এখন বিএনপি যদি জঙ্গিবাদকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ নেয়, রূপরেখা প্রণয়ন করে তাহলে পূর্বের কর্মকান্ড স্বীকার করে তবেই জনগণের সামনে উপস্থাপিত বিষয় নিয়ে মানুষের সন্দেহের জায়গা কিছুটা হলেও কমে আসবে।

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার—এ বিষয়টি বিএনপি তাদের রূপরেখাতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। কিন্তু যে দলটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশে রাজনীতির সুযোগ করে দেয়, ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করে তাদের কাছ থেকে এ ধরনের দাবি কতটুকু যৌক্তিকতা পাবে সময়ই তা বলে দিবে। অন্যদিকে রূপরেখায় রয়েছে-নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নারীর ক্ষমতায়ন, নারীদেরকে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পর্যায়ে মনোনয়নসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুযোগ প্রদানের বিষয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই সমর্থন প্রদান করবে না।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা প্রণয়ন করা ও তাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতির বিষয়ে রূপরেখাতে উল্লেখ রয়েছে। যারা যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করে, যুদ্ধাপরাধীদেরকে ফাঁসি থেকে বাঁচাতে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের ‍উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রীতির ঘোষণা সাধারণ জনগণ স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবে বলে মনে হয় না। কাজেই বিএনপি যে প্রত্যাশা ও আকাঙ্খা নিয়ে ২৭ দফা প্রণয়ন করেছে, সাধারণ জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের ক্ষেত্রে হিসেবে রূপরেখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে মনে হয় না।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও সভাপতি, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :