মেট্রোরেলের যুগে বাংলাদেশ, যেভাবে এলো দেশে দেশে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৩০| আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৫০
অ- অ+

ঢাকায় প্রতিনিয়ত যানবাহন বৃদ্ধির কারণে যাতায়াতে ভোগান্তি বাড়ছে নগরবাসীর। স্বল্প দূরত্বের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে সীমাহীন দুর্ভোগ ও সময়ের অপচয় হচ্ছে। যানজটের কারণে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। ২০১৮ সালে পরিচালিত বুয়েটের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ঢাকা শহরের যানজটের জন্য বার্ষিক ৪.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়, যা জাতীয় বাজেটের ১০ শতাংশ এর বেশি।

যানজটের কারণে ঢাকা মহানগরীতে দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে কর্মজীবীদের, যার আর্থিক ক্ষতি বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরে যানবাহনের গতি মানুষের হাঁটার গতির মতো ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটারে চলে এসেছে। ১২ বছর আগেও ঢাকায় যানবাহনের এ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার।

ঢাকাবাসীর যাতায়াতের একটি সুবিধাজনক মাধ্যম চালু হলো মেট্রোরেল। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয় ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে। ঢাকার যানজট নিরসনে মেট্রোরেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে লক্ষ্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) গঠন করা হয়। এই কোম্পানির মাধ্যমে প্রথম প্রকল্প হিসাবে নেওয়া হয় ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট লাইন-৬। যা এমআরটি-৬ নামে পরিচিত। প্রকল্পটি উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। এই প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার।

সরকার ২০১২ সালে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করে। বাস্তবে কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এ প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে রয়েছে-জাপান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (জাইকা)। শুরুতে প্রকল্পের আকার ছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রসারণ, স্টেশন প্লাজা নির্মাণ, কিছু স্টেশনে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ, পরামর্শকের পেছনে ব্যয় বৃদ্ধি, বাড়তি ভ্যাটের কারণে আরও প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের লাইন-৬ এর খরচ দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাইকা দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। আর সরকার এই প্রকল্পে খরচ করছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

মেট্রোরেলে প্রচুর যাত্রী বহন ক্ষমতাসহ একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহণ সুবিধা প্রদান করবে, এটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৬০,০০০ যাত্রী বহন করবে এবং প্রতি ৪ মিনিটে প্রতিটি স্টেশনে একটি ট্রেন যাতায়াত করবে।

ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত একটি বাসে যেতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা এবং ভিড়ের সময়ে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। মেট্রোরেলে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট।

মেট্রোরেল আমাদের দেশের জনসংখ্যাকে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি নতুন যুগে আবদ্ধ করেছে। উন্নত দেশগুলোয় মেট্রোরেল এবং অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন মাধ্যমগুলোকে একত্রিত করে একটি উন্নত রুট সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে যাতে মানুষ শুধু একটি পেমেন্ট কার্ডের মাধ্যমে তাদের গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারে। বাংলাদেশে এরই মধ্যে মেট্রোরেলে ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। মেট্রোরেলের যুগে এখন বাংলাদেশ। জাপানের হাত ধরে বিভিন্ন দেশে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়।

বিভিন্ন দেশের বড় শহরগুলোর নাগরিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপানের নজর থাকে মূলত মেট্রোরেল ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর। এক্ষেত্রে প্রধানতম অনুঘটক ধরা হয় টোকিও মেট্রোর ইতিবাচক সাফল্যের অভিজ্ঞতাকে। ওই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই বিশ্বের অনেক বড় শহরে মেট্রোরেল নির্মাণে বিনিয়োগ করেছে জাপান। সারা বিশ্বে মেট্রোরেল পরিচালনায় ব্যবহার করা হয় জাপানী প্রযুক্তি। কারণ মেট্রোরেলে থাকে মুভিং ব্লক কমিউনেকশন বেজড টেলি-কন্ট্রোল এবং অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন সিস্টেম। বিশেষ ধরনের ইনভার্টার সিস্টেমে চালিত এসব ট্রেন অনেক কম শব্দ তৈরি করবে, যা শব্দদূষণের পর্যায়ে পড়ে না। জাপানের রাজধানী টোকিওতে মেট্রোরেল ব্যবস্থা চালু হয় ১৯২৭ সালে। জনবহুল শহর টোকিওর বাসিন্দাদের যাতায়াতে প্রচুর সময় বাঁচাচ্ছে মেট্রোরেল। একই সঙ্গে বাড়িয়েছে শহরটির অর্থনৈতিক উপযোগিতাও।

বাংলাদেশে মেট্রোরেল নতুন হলেও বিশ্বে দ্রুতগতির বিদ্যুৎচালিত এ পরিবহন ব্যবস্থা নতুন নয়। এর বয়স প্রায় ১৪০ বছর। উইকিপিডিয়ার হিসেবে, বর্তমানে পৃথিবীর ৬১টি দেশের ২০৫টি শহরে চালু আছে এ দ্রুতগতির পরিষেবা। আরো অর্ধ শতাধিক শহরে এ ব্যবস্থা নির্মাণে কাজ চলছে।

পৃথিবীর প্রথম মেট্রোরেল চালনা করা হয় লন্ডনে ১৮৬৩ সালে। পেডিংটন স্টেশন থেকে কিং ক্রস হয়ে ফারিংডন স্টেশনে মাত্র চার মাইল এলাকায় এটি চলাচল শুরু করে। পৃথিবীর প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেলও লন্ডনে চালনা করা হয় ১৮৯০ সালে। বর্তমানে লন্ডনে ৪০২ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন যা ২৭টি স্টেশন দ্বারা যুক্ত। এর ৪৫ ভাগ নেটওয়ার্ক মাটির নিচে। বর্তমানে চালকবিহীন চলাচল করে ট্রেনটি। দিনের ব্যস্ত সময়ে ৫৪০টি ট্রেন চলে যাতে ৫০ লাখ মানুষ যাতায়াত করতে পারে।

পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম মেট্রো বুদাপেস্ট চালু হয় ১৮৯৬ সালে। ইউনেসকো ২০০২ সালে এটিকে একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।

পৃথিবীর দীর্ঘতম মেট্রো লাইন চীনের সাংহাইয়ে, যা ৪৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। মোট ১১টি রুট দ্বারা সংযুক্ত এ নেটওয়ার্কে ২৭৭টি স্টেশন আছে। এটির নির্মাণ কাজ ১৯৯৫ সালে শুরু হয়েছিল। সাংহাই মেট্রোরেল সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩১১ কিলোমিটার গতিতে চলে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত মেট্রো স্টেশন টোকিওতে। ২০১৩ সালের এক হিসেবে দেখা গেছে, এ মেট্রোরেলের বার্ষিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন। এটি জাপানের সবচেয়ে পুরাতন মেট্রো লাইন যা ১৯২৭ সালে চালু হয়। সর্বমোট ৩১০ কিলোমিটার এ মেট্রো নেটওয়ার্ক ১৩টি লাইন ও ২৯০টি স্টেশন দ্বারা সংযুক্ত।

ভারতের প্রথম মেট্রোরেল চালু হয় কলকাতা শহরে ২৪ অক্টোবর ১৯৮৪ সালে। এটি প্রথমে এসপেলেনডি থেকে ভবানীপুর (বর্তমান নেতাজী ভবন) মোট ৩.৪ কিলোমিটার এলাকায় ১৭টি স্টেশনে চলাচল করত। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর ১৯৭২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি স্থাপন করা হয়। এটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও হাওড়া জেলার অংশ-বিশেষে সেবা প্রদান করছে।

২০২২ সালের জুলাই মাসের তথ্য অনুসারে, কলকাতা মেট্রোর দুটি সক্রিয় যাত্রাপথ রয়েছে, একটি হলো দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১.৩৬৫ কিমি মেট্রো লাইন এবং অপরটি ৯.১ কিমি দীর্ঘ সল্ট-লেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ মেট্রো লাইন। এখানে ৩৪টি মেট্রো স্টেশন বিদ্যমান, যার মধ্যে ১৭টি স্টেশন ভূগর্ভস্থ, ১৫টি স্টেশন উত্তোলিত এবং দুইটি স্টেশন ভূমিগত। এছাড়া আরো চারটি লাইন বিভিন্ন পর্যায়ে নির্মীয়মাণ হয়ে রয়েছে। ভারতীয় সময় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ৯টায় ৫৫ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু থাকে। মেট্রোর ভাড়া ৫ রুপি থেকে ৩০ রুপির মধ্যে হেরফের করে।

পাকিস্তানের একমাত্র মেট্রোরেল রয়েছে লাহোরে। চালু হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। এটির অরেঞ্জ লাইনের দৈর্ঘ্য ২৭ দশমিক ১ কিলোমিটার। স্টেশন রয়েছে ২৬টি। লাহোর মেট্রোয় ব্লু লাইন ও পার্পেল লাইন নামে আরও দুটি লাইন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশে মেট্রোরেলের ভাড়া কত

আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল চলবে ১০০ কিলোমিটার গতিতে। মাত্র ২০ মিনিটে পাড়ি দেবে ১০ কিলোমিটার পথ।

আগামীকাল ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন সাধারণ যাত্রীরা। প্রথমদিকে দৈনিক চার ঘণ্টা করে মেট্রোরেল চলবে। প্রথমদিকে দিনের কোনো চার ঘণ্টা মেট্রোরেল চলবে, সেটি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে যাত্রীর চাপ মাথায় রেখেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

তবে মেট্রোরেল প্রথম ধাপে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে। এর মাঝে নয়টি স্টেশন পড়বে। তবে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত চললে স্টেশনের সংখ্যা হবে ১৭টি। আর দূরত্ব হবে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার।

এদিকে মেট্রোরেলের ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে ডিএমটিসিএল। প্রতি কিলোমিটারে ৫ টাকা ধার্য করে এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মেট্রোরেলে চড়তেই লাগবে ২০ টাকা!

মেট্রোরেলে উত্তরা দিয়াবাড়ি (উত্তরা নর্থ স্টেশন) থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৬০ টাকা। আর উত্তরা নর্থ থেকে পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৩০ টাকা, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৪০ টাকা এবং শেওড়াপাড়া স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া পল্লবী থেকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন পর্যন্ত সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। তবে পল্লবী থেকে শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত যাত্রীদের ভাড়া গুণতে ৩০ টাকা।

অন্যদিকে মেট্রোরেলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পাস নিলে ১০ শতাংশ ভাড়া ছাড়ের ব্যবস্থা নিতে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানি ডিএমটিসিএলকে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনা ভাড়া এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

তবে মেট্রোরেলের যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, তার থেকে ৩০ শতাংশ কমানোর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ ভাড়া বেশি হলে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী পাওয়া যাবে না।

দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে মেট্রোরেলের কত ভাড়া

দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোতে মেট্রোরেলের ভাড়া কত তা নিয়েও কৌতুহল রয়েছে অনেকের।

জানা যায়, ভারতের কলকতা বা দিল্লির মেট্রোরেলের তুলনায় বাংলাদেশের মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি। এ ছাড়া পাকিস্তানের লাহোর মেট্রোরেলের তুলনায়ও ঢাকার মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি।

কলকতায় মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ রুপি বা ৬ টাকা। আর ঢাকায় মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। কলকাতায় মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ ভাড়া ২৫ রুপি বা ৩১ টাকা। ঢাকায় মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা।

কলকাতায় ৫ রুপি বা ৬ টাকা দিয়ে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত যাতায়াত করা যায়, ১০ রুপিতে ৫ কিলোমিটার, ১৫ রুপিতে ১০ কিলোমিটার, ২০ রুপিতে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাতায়াত করা যায়। ২০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ রুপি বা ৩১ টাকা লাগে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে উত্তরা থেকে মতিঝিল ২০ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা যা কলকাতার মেট্রোরেলের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মেট্রোতে একই দূরত্বে ৪০ রুপি বা ৫০ টাকা লাগে। যা ছুটির দিনে ৩০ রুপিতে নেমে আসে। দিল্লির মেট্রোতে ৩২ কিলোমিটার পথ ৬০ রুপিতে যাতায়াত করা যায়।

লাহোরের মেট্রোতে প্রথম ৪ কিলোমিটার ২০ রুপি বা ৯ টাকা। ৫ কিলোমিটার থেকে ৮ কিলোমিটারের জন্য ২৫ রুপি বা ১১ টাকা, ৯ থেকে ১২ কিলোমিটরের জন্য ৩০ রুপি বা ১৪ টাকা লাগে। ১৩ থেকে ১৬ কিলোমিটারের জন্য ৩৫ রুপি বা ১৬ টাকা লাগে। ১৬ থেকে ২৭ কিলোমিটারের জন্য ৪০ রুপি বা ১৮ টাকা লাগে।

ঢাকাটাইমস/২৮ ডিসেম্বর/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হলেন রেজাউল করিম মল্লিক
এবার করিডরের বিরোধিতায় সরব আওয়ামী লীগ, ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান
চট্টগ্রামে র‍্যাব অফিস থেকে সিনিয়র এএসপি পলাশের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
মহিলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমত আরা হ্যাপিসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা