জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন আইন কলেজ অধ্যক্ষদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫৭| আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩০
অ- অ+

সারাদেশের অধিভুক্ত সকল আইন কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে ‘আইন কলেজ ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও পরীক্ষা বিষয়ক কর্মশালা’ শীর্ষক এই কর্মশালা দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মশালায় সারাদেশের ৭১টি আইন কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আইন কলেজের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা ও সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষবৃন্দ। কর্মশালায় অধ্যক্ষবৃন্দ ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান আইন কলেজ উন্নয়ন নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুম অ্যাপে যুক্ত হয়ে আইন কলেজের অধ্যক্ষদের উদ্দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘আইন কলেজের জন্য এই মুহূর্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয় কী? আপনাদের কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে কিনা- এসব নানা বিষয় নিয়ে আপনারা কথা বলবেন। আপনাদের সুপারিশের আলোকে আইন কলেজের অ্যাকাডেমিক ‘এক্সিলেন্সি’র জন্য সবকিছুই করা হবে। তবে পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা আমরা গ্রহণ করবো না। পড়াশোনা করেই আইন পাস করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। মানুষের দোরগোড়ায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটি খুবই জরুরি। মানের জায়গায় না থাকলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খুবই শক্ত অবস্থানে থাকবে। আর যারা মান সুরক্ষা করবে তাদের পাশে আরও বেশি করে থাকবো আমরা। বিশ্ব মানের শিক্ষা কার্যক্রম আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এ ক্ষেত্রে আইন কলেজের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’

কর্মশালায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, ‘আইন এমন একটি মহান পেশা যার মাধ্যমে দেশ, সমাজ অনেক বেশি সেবা পেয়ে থাকে। এটি একটি সেবামূলক পেশা। আইন শিক্ষার উন্নয়নে আপনারা যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেগুলোর অনেক কিছুই সমাধান করা সম্ভব। আপনাদের প্রস্তাবগুলো আমলে নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। অনেক সময় আমরা শিক্ষার ব্যাপ্তির লক্ষ্যে সংখ্যাকে গুরুত্ব দিই, সেখানে দেখা যায় কোয়ালিটিতে কিছু ঘাটতি দেখা যায়। তবে কলেজগুলোতে এল এম এস চালু হলে অনেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়র নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে আর সমস্যা থাকবে না। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। আইনের কোর্সের মেয়াদ তিন বছরই হওয়া উচিত। দুই বছর যথেষ্ট নয়। কারণ এর পরিধি অনেক বিস্তৃত।’

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) দপ্তরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা প্রমুখ।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক রফিকুল আকবর। কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমিনুল হক।

(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ওপারে কারফিউ, সুনামগঞ্জের ১২ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবির সতর্ক অবস্থান
খালিশপুরে শহীদ মিনারের জমি দখলের ভিডিও করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণায় শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস
৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা