দেবীদ্বারে প্রতারণার শিকার আ.লীগের ২০ নেতা

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩, ২১:৪৮ | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০২৩, ২০:৫২

আওয়ামী লীগের ২০ নেতা ত্রাণ পাওয়ার আশায় প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতারিতরা জানান, তাদের থেকে বিকাশ ও নগদে প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা সুবিল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

রবিবার বিকালে উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল আউয়াল বাদী হয়ে অজ্ঞাত প্রতারক চক্র ও তাদের ব্যবহৃত তিনটি ফোন নম্বর উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

পুলিশ, দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, সুবিল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আউয়াল সরকারের কাছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের একজন কর্মকর্তা দাবি করে ফোন দেন। সেখানে ওই সভাপতির কাছে কয়েকশ দরিদ্র মানুষকে নগদে ৪ হাজার ২০০ টাকা, ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ কেজি সয়াবিন ও একটি কম্বল দেওয়ার কথা বলা হয়। যা দেবীদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ নেওয়ার অনুরোধ করেন এ সভাপতির কাছে।

প্রতারিত ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল আউয়াল জানান, এনএসআইয়ের এক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দরিদ্র মানুষকে নগদ টাকা, চাল, ডাল, তেল ও কম্বল দেওয়ার কথা বলেন। প্রথমে মানুষের নামের তালিকা ফোনে চান। এরপর তাদের ফরম ও অফিস খরচ বাবদ ৪৫০ টাকা করে দাবি করেন। আমি ২১ জনের জন্য ৫ হাজার টাকা বিকাশে দেই।

তিনি আরো জানান, ৫০ কার্ডের জন্য ২২ হাজার ৫শ টাকা অগ্রিম জমা দিতে হবে। ৫০ কার্ডের বিপরীতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা ১০টি কার্ডের টাকা ও মালামাল ফ্রি পাবেন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কার্ডও নিতে পারেন। ওই লোভনীয় প্রস্তাবে প্রতিটি ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনেকেই তাদের দেয়া বিকাশ ও নগদ নম্বরে গত বুধবারে (১ ফেব্রুয়ারি) ৫ হাজার, ১৫ হাজার, ২১ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। শুধুমাত্র আমি ৫ হাজার টাকা পাঠাই, পরবর্তীতে বাকি টাকা পরিশোধের শর্তে।

জানা যায়, একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম (৬৫) প্রতারকদের কথায় বিশ্বাস করে ১৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান। একইভাবে ১ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউছার সরকার (৫০) ২১ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন বলে জানান। তাদের সাথে মাসুদ নামে আরেক যুবলীগ নেতাও ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

দেবীদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর জানান, প্রতারণার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০৫মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :