পঞ্চগড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে: রেলমন্ত্রী

পঞ্চগড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় যারা হামলা, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগে জড়িত তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর যারা এমন হামলা চালিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় নয়।

আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এরপরও কেন আমরা আগাম প্রস্তুতি নিতে পারিনি বা প্রশাসনের কোনো গাফিলাতি রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সোমবার সকালে জেলা শহরের আহমদ নগর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। পঞ্চগড়ের সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ২০১৯ সালেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালেও বিএনপি-জামায়াত চক্র রাজনীতির নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে। পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। এখানেও তারা সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছে। তারা তৌহিদী জনতার নাম ধরে, ধর্মের নাম করে এই কাজ করেছে। তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। বিচার করা হবে। ইতোমধ্যে ছয়টি মামলা হয়েছে। আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মোহম্মদ আব্দুল আলীম বিপিম, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় রেলমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবারের মাঝে একটি করে শাড়ি, লুঙ্গি, কম্বল দেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে চালসহ রেলমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে পরিবার প্রতি এক হাজার করে নগদ টাকা দেওয়া হয়। তবে আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের গণসংযোগ ও প্রেস বিভাগের প্রধান আহমদ তবশির চৌধুরী বলেন, আমরা কারো সাহায্য সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।

পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে ছয়টি মামলা হয়েছে। আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন। এই ঘটনায় কমবেশি ২০টির মতো মামলা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/এআর)