কলাপাড়া পৌর শহরের বেশিরভাগ সড়ক বেহাল, জনদুর্ভোগ চরমে

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:১১
অ- অ+

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের বেশিরভাগ সড়ক খানাখন্দে ভরপুর। শহরের কাঠপট্টি থেকে ফেরীঘাট-হাসপাতাল সড়ক, প্রেসক্লাব থেকে থানা-এসিল্যান্ড সড়ক, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে অফিসমহল্লার কালভার্ট সড়ক, রহমতপুর-বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা সড়ক, হাইস্কুলের পেছনের সড়ক ও রহমতপুর-রাডার সড়ক অসংখ্য খানা-খন্দের কারণে এসব সড়কে যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে কাঠপট্টি থেকে ফেরীঘাট-হাসপাতাল সড়ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এ সড়কটি এখন নাগরিকদের কাছে কলাপাড়া পৌরসভার ’ডিজিটাল সড়ক’হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। তবে এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। শুধু সভা, সমাবেশের বক্তৃতায় তারা ডিজিটাল পৌরসভা থেকে স্মার্ট পৌরসভা গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা শোনাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালের ১ মার্চ নাগরিক সেবা প্রদানে কলাপাড়া পৌরসভা যাত্রা করেন। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার আয়তন ৩.৭৫ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। ভোটার প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। ২০০৯ সালে এটি তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং ২০১৫ সালে এ পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করে।

পৌর এলাকায় পাকা সড়ক রয়েছে ২৬ কি.মি. ও কাঁচা সড়ক ৬ কি.মি. এবং ইটের সড়ক রয়েছে ১৬ কি.মি। পৌরসভার সরু সড়কের ফুটপাথ দখল, রিকশা-অটো-ভাড়াটে মোটর সাইকেলের যত্র তত্র পার্কিং, প্রভাবশালীদের ইট-পাথর-বালু বহনকারী ঘাতক যান নাগরিক চলাচলে আরও দুর্ভোগ যুক্ত করেছে। এছাড়া সড়কের খানাখন্দে বর্ষার পানি জমে যানবাহন চলাচলে নদীর ঢেউয়ের অনুভূতি দিচ্ছে নাগরিকদের। মাঝে মাঝে সড়কে যানবাহন উল্টে নাগরিকরা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার মনের সুখ মিটিয়ে এ ডিজিটাল সড়ক কৃর্তপক্ষকে অশ্লীল গালাগাল ছুঁড়ে দিচ্ছেন।

অটোরিকশা চালক কালাম মিয়া জানান, ’বাজার থেকে ফেরী ঘাট চৌরাস্তা সড়কে যাত্রী পরিবহন কম করি। এ সড়কে চলাচল করলে গাড়ী রিপেয়ার করা লাগে। বছরের পর বছর ধরে চলছে এ সমস্যা। যাত্রীরা এই সড়কেরে অ্যাহন পৌরসভার ডিজিটাল সড়ক কয়।’

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাজার-ফেরীঘাট চৌরাস্তা ১ কি.মি. সড়কের কার্পেটিং কাজ কুয়েত ফান্ডের নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ৯২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্থ ছাড় পেলেই কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া অফিস মহল্লা-হাসপাতাল ৭৫৮ মিটার আরসিসি সড়ক ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এবং রহমতপুর-বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ১১২২ মিটার কার্পেটিং সড়ক কোভিড-১৯ প্রকল্পের ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই এসকল সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. হুমায়ুন কবির জানান, পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক মেরামত করা হয়েছে। এখন সিসির বদলে আরসিসি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০-১২ কিলোমিটার আরসিসি সড়ক করা হয়েছে। এছাড়া সকল সড়কের দ্রুত নির্মান ও সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৯এপ্রিল/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শেখ হাসিনার লুটপাটের চিত্র এখন শিল্পকারখানা ধ্বংসের প্রতিচ্ছবি: শ্রমিক জাগপা
ঢাকাবাসীর প্রতি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুঃখ প্রকাশ
কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা