‘মৃত’ নারী পাচারকারী মজনুকে জীবিত আটক করল পিবিআই

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৬

নারী পাচার মামলায় অভিযুক্ত ৪৪ বছর বয়সী মজনু বিশ্বাস, যিনি দীর্ঘদিন মৃত পরিচয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। অবশেষে গত রবিবার তাকে জীবিত আটক করল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের একটি টিম। আটক করা হয়েছে মজনুর স্ত্রী মাজেদা খাতুনকেও।

যশোরের এক যুবতীকে ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার ও অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে ওই দম্পতিকে আটক করে পিবিআই। রবিবার গভীর রাতে ঝিনাইদহ শহরের জোড়াপুকুর পাগলাখানা রোডের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক মজনু বিশ্বাস ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট পূর্বপাড়ার মৃত জলিল বিশ্বাসের ছেলে।

পিবিআই যশোরের একজন কর্মকর্তা জানান, মাজেদা খাতুন মজনুর দ্বিতীয় স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রীর নাম জেসমিন খাতুন। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি পূর্বপাড়ায় বাবার বাড়িতে থাকেন জেসমিন খাতুন।

অন্যদিকে, মজনু তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাজেদা খাতুনকে নিয়ে যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলার আসাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশে একই মালিকের বাড়িতে স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ।। পাশাপাশি ভাড়া থাকার সুবাদে মাজেদার সঙ্গে ওই যুবতীর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এক পর্যায়ে যুবতীকে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ১৭ মে তাকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতের গুজরাটে নিয়ে যান মজনু ও তার স্ত্রী মাজেদা। তারা ভারতের গুজরাটে নিয়ে সেখানে অবস্থানরত মজনু বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী জেসমিন খাতুনের চাচাতো ভাই সোহাগ সরদারের হাতে তুলে দেন।

এরপর সোহাগ সরদার ও তার স্ত্রী মিম বেগম ওরফে জয়া ওরফে রিয়া ভুক্তভোগী নারীকে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করেন। এক পর্যায়ে পাচারকারীদের কবল থেকে কৌশলে পালিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে আসেন ওই গৃহবধূ।

এ ঘটনায় গত রবিবার বিকালে ভুক্তভোগীর বাবা চারজনকে আসামি করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। আসামিরা হলেন- মজনু বিশ্বাস, তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন এবং সোহাগ সরদার ও তার স্ত্রী মিম বেগম ওরফে জয়া ওরফে রিয়া।

পিবিআইয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে, আসামি মজনু বিশ্বাস ও তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন ভারত থেকে এসে ঝিনাইদহের জোড়াপুকুর পাগলাখানা রোডের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন।

এ খবর পেয়ে রবিবার গভীর রাতে ওই ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মজনু বিশ্বাস ও মাজেদা খাতুন দম্পতিকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই যুবতীকে ভারতে পাচার এবং ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন।

মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই জানতে পারে, প্রথম দিকে জানতে পারে আসামি মজনু মৃত। নড়াইলের স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক একটি মৃত সনদও দেওয়া হয় তার। ওই মৃত সনদ তার স্ত্রীর কাছে আছে। কিন্তু পিবিআইয়ের সন্দেহ হলে তারা গভীর ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে।

পরে সোর্স মারফত জানতে পারে মজনু আসলে মৃত নয়। তিনি বেঁচে আছেন এবং ঝিনাইদহ শহরের জোড়াপুকুর পাগলাখানা রোডের একটি বাড়ি ভাড় নিয়ে বসবাস করছেন। পিবিআই সেখানে গিয়ে তাকে জীবিত আটক করে।

আটক দুইজনই এই বিষয়টি যশোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের ওই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/এএ/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

সুন্দরবনের আগুন নেভেনি, আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

বগুড়ায় বসতবাড়ি‌তে বি‌স্ফোরণে আহত বুশরা মারা গে‌ছেন

অনলাইন ডেলিভারি ম্যান সেজে গাজা পাচার, আটক ১

চাটখিলে এমডির বিরুদ্ধে হাসপাতাল দখলের অভিযোগ

গাজীপুরে রেল দুর্ঘটনা: ৩১ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

বরিশালে তুচ্ছ ঘটনায় পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, যান চলাচল বন্ধ

সৈয়দপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ কোস্টগার্ড সদস্যের বিরুদ্ধে

খাবারে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে শিক্ষকের বাসায় চুরি, ৩ জন অসুস্থ

তাপদাহ: দিনাজপুরে নাবি টমেটোর বাম্পার ফলনেও কৃষকের মাথায় হাত

এক পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত, হাসপাতালে নেই ভ্যাকসিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :