সৌদির সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে। শুক্রবার আরব দেশগুলোর সাথে রোজা রাখা শুরু করে এসব গ্রামের লোকজন। ২৯ রোজা পূর্ণ করেই তারা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
সকাল ৯ টায় সাদ্রা দরবার ময়দান ও ১০টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের পৃথক দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবারের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী ও মাওলানা মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী। এ ছাড়া একই এলাকায় আরো কয়েকটি ঈদের জামাত হয়েছে।
এদিকে সকাল ৯টায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সীরহাট জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. রহমত উল্যাহ।
এছাড়াও সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মণিহার, বড়কূল, অলিপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলী, শহারাস্তি উপজেলা কয়েকটি গ্রামের আংশিক এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আগাম দুই ঈদ ও রোজা পালনের এই রীতি চালু হয় ১৯২৮ সাল থেকে। ওই এলাকার প্রখ্যাত আলেম মাওলানা ইসহাক (রহ.) এই আগাম ঈদ উদযাপন ও রোজা পালনের প্রচলন শুরু করেন। এরপর থেকে তার অনুসারী লোকজন এইভাবে ঈদ উদযাপন করে আসছেন। প্রথম পর্যায়ে এই ঈদ পালন নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এক সময় অনুসারী বাড়তে থাকে।
মরহুম ইসহাক (রহ.) এর ছেলে মুফতী জাকারিয়া আল-মাদানী জানান, অনেক গণমাধ্যমে এই বিষয়টি সঠিকভাবে লেখা হয় না। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে নয় বরং ইসলামের রীতি অনুযায়ী কুরআন, হাদীসসহ অন্য কিতাবগুলোর স্পষ্ট বর্ণনার আলোকে আমরা ঈদ উদযাপন করে আসছি। অর্থাৎ সর্বপ্রথম চাঁদ দেখারভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি।
(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এলএ)