গভীর নলকূপ থেকে তিন বছর ধরে বের হচ্ছে গরম পানি

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ মে ২০২৩, ১১:২৩
অ- অ+

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী (গিলারচালা) এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন নিরাপদ পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সেই নলকূপ থেকে বের হচ্ছে গরম পানি। নলকূপ স্থাপনের কিছুদিন ঠাণ্ডা পানি বের হলেও গত তিন বছর যাবত নলকূপ থেকে বের হচ্ছে গরম পানি।

শনিবার ওই বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গভীর নলকূপ থেকে গরম পানি বের হচ্ছে খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আশপাশের বাসিন্দারা ওই বাড়িতে এসে পানি নিজ হাতে ছুঁয়ে দেখছেন।

ওই সময় উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা রাশিদুল জানান, ২৬০ ফুট গভীর নলকূপ দিয়ে গরম পানি বের হচ্ছে। তবে কেন এবং কী কারণে নলকূপ থেকে গরম পানি বের হচ্ছে, এর কারণ কেউ বলতে পারছে না।

একই এলাকার সুফিয়া আক্তার জানান, সাহাব উদ্দিনের নলকূপের পানি অনেকটা গরম পানির মতো। বাড়ির ভাড়াটিয়ারা পানি ব্যবহারের কয়েক ঘন্টা আগে পানি সংরক্ষণ করে পাত্রে রেখে দেয়। পরে পানি ঠাণ্ডা হলে ওই পানি তারা ব্যবহার করে।

শাহাব উদ্দিনের ছেলে কাউসার জানান, প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে বসত ঘরের সামনে তার বাবা গভীর নলকূপ স্থাপন করে। পরে ওই নলকূপ থেকে নিয়মিত গরম পানি বের হতে থাকে। পরে সুপেয় ও নিরাপদ ঠান্ডা পানি উত্তোলনের আশায় পাঁচ হাত দূরে বাড়ির পাশেই প্রায় ৮ বছর আগে আবার গভীর নলকূপ স্থাপন করে। তখন ওই নলকূপ থেকে ঠাণ্ডা পানি বরে হলেও গত তিন বছর যাবত পানিতে গরম অনুভূত হচ্ছে। ঠাণ্ডা পানির বদলে গরম পানি বের হচ্ছে। তাৎক্ষকি ওই নলকূপ থেকে বের হওয়া পানি কোন কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

সাহাব উদ্দিনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোসাম্মৎ নাসিমা আক্তার মিমি জানান, তিনি গত পাঁচ বছর যাবত এ বাড়িতে ভাড়া থাকেন। আগে পানি ভালো ছিল। গত তিন বছর যাবত গরম পানি বের হওয়ায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ পানি দিয়ে গোসল করা যায় না। পানি ব্যবহার করলে শরীর চুলকায়, মাথার চুল পড়ে যায়। হাত-মুখ ধুয়ে স্বস্তি পাওয়া যায় না। ফ্রিজে পানি সংরক্ষণ করে ঠান্ডা হলে তারপর ব্যবহার করতে হয়।

সাহাব উদ্দিন বলেন, প্রথমে বসত ঘরের সামনে ২২০ ফুট গভীর নলকুপ স্থাপন করে পানি ব্যবহার করছিলেন। হঠাৎ করে নলকূপের পানির অস্বাভাবিক রং ধরা পড়ে এবং হালকা গরম পানি বরে হতে থাকে। পরে এই নলকূপের ৫ হাত দূরত্বে ২৬০ ফুট গভীরতা করে আরেকটি নলকূপ স্থাপন করি। নতুন নলকূপ থেকে প্রথম কয়েকদিন ঠান্ডা পানি বের হয়েছিল। এই নলকূপে তিন বছর আগে থেকে গরম পানি আসা শুরু করে। বছর তিন যাবত নলকূপের পানি কুসুম কুসুম গরম। সংরক্ষন করে ঠান্ডা হওয়ার পর এই পানিই ব্যবহার করতে হচ্ছে। পানি গরম হওয়ায় আমার বাড়িতে ভাড়াটিয়া আসে না। যারা ভাড়া আছে তারাও বাসা খঁজুতেছে চলে যাওয়ার জন্য।

স্থানীয় পরিবেশকর্মী খোরশেদ আলম বলেন, গরম পানি বের হওয়ার খবরে আমি নিজ উদ্যোগে ওই নলকূপের পানি সংগ্রাহ করে বেসরকারি কয়েকটি দপ্তরে পাঠিয়েছি। কেন গরম পানি বরে হচ্ছে তা পরীক্ষা ছাড়া বলা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।

আরও পড়ুন: সোনাইমুড়ীতে আগুনে ৯ ঘর পুড়ে ছাই

শ্রীপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সহকারী প্রকৌশলী ফয়সাল খান জানান, গভীর নলকূপ থেকে গরম পানি বের বিষয়টি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধমের জানতে পেরেছেন। শনিবার অফিস বন্ধ তাই রবিবার অফিস সময়ে তিনি বিষয়টি দেখবেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭মে/এসএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভেষজ মহৌষধ আনারস কিডনির পাথর দূর করতে সিদ্ধহস্ত, ওজনও কমায় দ্রুত
খিলক্ষেতে কাভার্ডভ্যান চাপায় ২ পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩, নিখোঁজদের সন্ধান চলছে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা