জয়পুরহাটে চামড়ার বাজারে ধস, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

গত বছরের মতো এ বছরও জয়পুরহাটে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। এলাকা থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে চামড়া কিনে এনে গাড়ি ভাড়াও তুলতে পারছেন না মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।
জেলার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করেই সিন্ডিকেট করে নিজেদের ইচ্ছে মতো চামড়া কিনছেন আড়ৎদাররা। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, এবার বাজারে প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। ছাগলের চামড়া কেনার আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার সুক্তাহার গ্রামের মতিউর রহমান, কালাই উপজেলার হাতিয়র গ্রামের গোলাম রব্বানী, ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া গ্রামের হানিফ হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার কোরবানিদাতারা জানান, গত বছরের মতো এবারও চামড়ার দাম নেই। চামড়ার বাজার ধসের কারণে লোকসানের শিকার জেলার প্রায় সব মৌসুমি ব্যবসায়ী।
শহরের নতুনহাট এলাকার শহিদুল ইসলাম, জামালগঞ্জ বাজারের মতিউর রহমানসহ মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা ঢাকা টাইমসকে জানান, কোরবানির চামড়ার এই আকস্মিক দরপতনে দিশেহারা তারা। এবারের দরপতনে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।
জয়পুরহাট শহরের চামড়া ব্যবসায়ী গোলজার হোসেন, শাহিন আকতার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে কোটি কোটি টাকা। হাতে টাকা না থাকায় তারা কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে চামড়া কিনতে পারছেন না। ফলে বাজারে চাহিদা কম থাকায় চামড়ার মূল্য স্বাভাবিক কারণে কমে গেছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে কৌতুক অভিনেতা রনিকে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর
জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম বলেন, জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্ত এলাকা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২২ কিলোমিটার এলাকা তারকাঁটার ঘেরা, বাকি ১৮ কিলোমিটার সীমান্তে তারকাঁটা নেই। চোরাকারবারিরা মূলত এই জায়গাটিকেই তাদের পাচারের পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তাই এই জায়গাগুলো সব সময় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। চামড়া পাচার রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা।
(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এসএম)

মন্তব্য করুন