শেরপুরে মাদরাসা থেকে নিখোঁজের সাত দিনেও সন্ধান মেলেনি শিক্ষার্থীর

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১২:২৫ | প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৩

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে নিখোঁজের সাত দিনেও সন্ধান মেলেনি রুবেল মিয়া (১৪) নামে এক আবাসিক শিক্ষার্থীর।

নিখোঁজ রুবেল উপজেলার নয়াবিল ইউপির আবুল হাশেমের ছেলে।

নিখোঁজের ঘটনায় রুবেলের বাবা হাশেম গত ১১ জুলাই নালিতাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। রুবেল তার এক চাচা ও চাচাতো ভাইসহ উপজেলার রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় প্রায় চার বছর যাবত পড়াশোনা করছে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে গত ৮ জুলাই মাদরাসায় আসার পর ১০ জুলাই ভোর থেকে নিখোঁজ রয়েছে রুবেল।

পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রুবেল তার এক চাচাতো ভাই ও চাচাসহ উপজেলার রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার আবাসিক ছাত্র ছিল। গত ৮ জুন বিকালে রুবেল বাড়ি থেকে মাসিক বেতন, বোর্ডিং ফি ও হাত খরচের জন্য আড়াই হাজার টাকা নিয়ে ঈদের ছুটি শেষ করে মাদরাসায় যায়।

পরে গত ৯ জুলাই রাতে রুবেল প্রতিদিনের মতো তার চাচাতো ভাই রবিউলের পাশে শুয়ে পড়েন। তবে পরদিন ভোরে রবিউল ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠে রুবেলকে আর দেখতে পায়নি।

পরে ১০ জুলাই সারাদিন পেরিয়ে রাতেও রুবেলের খোঁজ না মেলায় মাদরাসার হুজুরের মোবাইল ফোনে রবেলের পরিবারের কাছে নিখোঁজের খবরটি জানানো হয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও রুবেলের সন্ধান না পেয়ে ১১ জুলাই ছেলের সন্ধান চেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জিডি করেন আবুল হাশেম।

রুবেলের মা রুবিয়া খাতুন বলেন, ঈদের ছুটি কাটাইয়া আমার পুলাডা (ছেলে) মাদরাসায় গেল। আমি নিজেই ছেলেরে গাড়িতে তুইলা দিলাম। মাদরাসায় গিয়া আমার পুলা মাত্র দুই রাইত আছিলো। অহন তো কেউ জানেও না আমার পুলা কই। সব জাইগাই খুঁইজাও তো পাইলাম না। সবার সামনে মাদরাসা থাইক্কা (থেকে) আমার বাপধন (ছেলে) কই হারাইয়া গেল?

রুবেলের বাবা আবুল হাশেম বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনায় খুব ভালো। ২২ পারা কোরআন শরীফ শেষ কইরা এখন ২৩ পারা পড়া শুরু করেছে। আবাসিক মাদরাসার ভেতর থেকে কীভাবে ছেলে নিখোঁজ হয়?

মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ ইসমাইল হোসেন বলেন, মাদরাসায় থেকে পড়াশোনা করলেও অনেক ছাত্রই অনেক সময় না বলে বাড়িতে চলে যায়। গত ১১ জুলাই সকালে হাজিরা খাতায় নাম ডাকলে রুবেল অনুপস্থিত ছিল। পরে রাতে আবার হাজিরা ডাকার সময়ও রুবেলকে অনুপস্থিত পেয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: সাহায্য নয় যাতায়াতের রাস্তা চান বেদেপল্লি বাসিন্দারা

নালিতাবাড়ী থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি মাদরাসার বেতনের জন্য বাসা থেকে আনা টাকা সে মাদরাসায় জমা দেয়নি। সেই টাকাগুলো তার কাছেই ছিল। ঘটনার দিন সকালে রুবেল বাস কাউন্টার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে টিকিট করে ঢাকায় গেছে বলে জেনেছি। আশা করছি খুব দ্রুত তাকে উদ্ধার করা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :