চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ শিশু নিহত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০২৩, ২২:৫৯

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় তিন শিশু নিহত হয়েছে। রবিবার বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে জেলার পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। বিকাল ৫টার দিকে দিকে দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামে সড়কের ওপর আছড়ে পড়ে রাশেদ আলী (৩) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। নিহত রাশেদ আলী একই উপজেলার নাপিতখালি গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে।

নিহত শিশুর মা রেহেনা খাতুন জানান, বিকালে আমার ভাইয়ের বাড়ি কুনিয়া চাঁদপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। আমার কোলে বসেছিল রাশেদ। এসময় মোক্তারপুর গ্রামের মোড়ে পৌঁছালে আমার কোল থেকে ঝাঁপ দিয়ে সড়কের ওপর পড়ে যায় সে। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় রাশেদ। তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদ হাসান জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায় শিশুটি।

এদিকে, জেলার জীবননগরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে আয়েশা খাতুন (৯) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে জীবননগর উপজেলার কন্দর্পপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আয়েশা খাতুন কন্দর্পপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার বকুল উদ্দিনের মেয়ে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, সন্ধ্যার দিকে আয়েশা খাতুন দৌড়ে রাস্তা পার হতে গেলে হঠাৎ দ্রুতগতির একটি মিনি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে রক্তাক্ত জখম হয় সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে, আলমডাঙ্গায় বালতির পানিতে ডুবে ইয়াসিন আলী নামে আট মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার বিকাল ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ইয়াসিন আলী একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে।

নিহত শিশু ইয়াসিনের চাচা সাকের আলী জানান, বিকালে ইয়াসিন ও তার ভাই আব্দুল্লাকে নিয়ে তাদের মা মুন্নি খাতুন ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আব্দুল্লাহ ঘরের বাইরে বের হয়ে যায়। শিশু ইয়াসিন খেলতে খেলতে খাটের পাশে রাখা পানিভর্তি বালতির ভেতর পড়ে যায়। ঘুম থেকে উঠে ইয়াসিনকে পাশে না পেয়ে মা মুন্নি খাতুন বিচলিত হয়ে ওঠেন। পরে খাটের পাশে রাখা পানিভর্তি বালতির ভিতর থেকে ইয়াসিনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদ হাসান জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা গেছে শিশুটি।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :