ঝালকাঠিতে বাস ট্রাজেডি
ঘাতক বাসের সুপারভাইজার গ্রেপ্তার, চালক ও সহকারী পলাতক

ঝালকাঠিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় মো. ফয়সাল ওরফে মিজান (৩২) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তিনি ঘাতক বাসটির সুপারভাইজার।
বরিশাল র্যাব-৮ এর একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে সোমবার বিকালে জেলার রাজাপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃত মিজান নলছিটি উপজেলার পূর্ব রায়াপুর (বটতলা) গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে।
সোমবার রাতে তাকে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ঘাতক বাসের চালক মোহন খান (৪০) ও চালকের সহকারী (হেলপার) আকাশ ওরফে বুলেট (১৮) পলাতক রয়েছেন।
এর আগে বাস দুর্ঘটনার দুদিন পর ঝালকাঠি থানার এসআই সুশংকর মল্লিক বাদী হয়ে রবিবার দিবাগত রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাসের চালক মোহন খান, সুপারভাইজার মো. ফয়সাল ওরফে মিজান ও হেলপার আকাশ ওরফে বুলেটকে আসামি করা হয়। পরে ঝালকাঠি থানার এসআই আবদুল্লাহ আল মামুনকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, সুপারভাইজার মো. ফয়সালকে র্যাব সদস্যরা রাতে ঝালকাঠি থানায় হস্তান্তর করেছে। এই মামলায় বাকি দুজন গাড়ির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন। এদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহামুদ বাচ্চু বলেন, বাসচালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারী কোথায় পালিয়ে আছে, আমরাও জানার চেষ্টা করছি। দুর্ঘটনায় বাস মালিক সমিতি ছয় সদস্যের একটি কমিটি করেছে। আমরাও দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করতে পারব।
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩
গত শনিবার সকালে ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী বাশার স্মৃতি পরিবহন নামক যাত্রীবাহী বাসটি ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গভীর পুকুরে পরে ১৭ যাত্রী নিহত এবং ৩৫ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এসএম)

মন্তব্য করুন