এডিস মশা নিধনের কার্যকরী উপায়

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩৩| আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৪
অ- অ+

দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসঘটিত জ্বর রোগ। মশা অতি ক্ষুদ্রকায় পতঙ্গ হওয়ায় তার রূপ-প্রজাতি বিশ্লেষণ করে চিনে ওঠা বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ৩,৫০০ এর বেশি প্রজাতির মশা রয়েছে। এর মধ্যে এডিস মশা মানুষের শরীরে রোগজীবাণু সংক্রমণের বাহক হিসেবে কাজ করে। ডেঙ্গুর মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে। এমন কি ঘটতে পারে মৃত্যুও।

কয়েক প্রজাতির স্ত্রী এডিস মশা ডেঙ্গুর জীবাণুর বাহক, যেগুলোর মধ্যে এডিস ইজিপ্টি প্রধান। এই স্ত্রী মশা যখন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত পান করে, তখন ডেঙ্গুর জীবাণু ওই মশার দেহে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে লালাগ্রন্থিতে অবস্থান নেয়। পরে এই মশা যখন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন সেই ব্যক্তির ত্বকের মাধ্যমে ডেঙ্গুর জীবাণু তার দেহে প্রবেশ করে।

এডিস মশার শরীরে ডোরাকাটা দাগ থাকে বলে এর অন্য নাম ‘টাইগার মশা’। এই মশা চার-পাঁচ দিনের স্বচ্ছ জমানো জলে দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটায় এবং কৃত্রিম জলাধারে ডিম পাড়তে, মানুষের কাছে থাকতে ও রক্ত পান করতে বেশি পছন্দ করে।

ডেঙ্গু ভাইরাস এক সূত্রকবিশিষ্ট একধরনের আরএনএ ভাইরাস, যা ফ্ল্যাভিভাইরিডি ও ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত। ওয়েস্টারন নাইল ও ইয়েলো ফিভার অসুখ দুটির ভাইরাসের সঙ্গে এই ভাইরাসের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। ভাইরাসের জিনোম বা জিন পদার্থে আছে প্রায় ১১ হাজারের মতো নিউক্লিওটাইডস বেস। এর কোডে থাকে তিন প্রকারের অণু—সি, এম এবং ই। প্রোটিন-ই বা এনভেলপ প্রোটিনের সাহায্যে জীবাণুটি আক্রান্ত ব্যক্তির দেহকোষে আটকে থাকার সুযোগ পায়।

ডেঙ্গুর জীবাণুর চারটি ভাগ বা সেরোটাইপ শনাক্ত হয়েছে। এগুলোর প্রতিটি রোগের পূর্ণ চিত্র তৈরিতে সক্ষম। এগুলোর নাম হলো ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩, ডেন-৪। কোনো ব্যক্তি যে ধরনের বা টাইপের ভাইরাসে আক্রান্ত হবে, রোগ থেকে সেরে ওঠার পর সেই ব্যক্তি সেই টাইপের ভাইরাসের বিরুদ্ধে জীবনব্যাপী ও অন্যান্য টাইপের বিরুদ্ধে কেবল সাময়িক রোগপ্রতিরোধী শক্তি লাভ করবে। তাই একবার এক টাইপের ডেঙ্গুর জীবাণু দ্বারা কেউ আক্রান্ত হলে তার অন্যবার বা পরেরবার অন্য টাইপ দ্বারা আবারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ জন্য ডেঙ্গু জ্বর জীবদ্দশায় বারবার হতে পারে, তবে ভিন্ন ভিন্ন টাইপ দ্বারা। তবে একসঙ্গে একাধিক টাইপে বা দ্বিতীয়বার আক্রান্তের ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা থাকে অনেক বেশি।

ভাইরাস শরীরে প্রবেশের সাধারণত চার থেকে সাত দিনের মধ্যে (সর্বনিম্ন ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ দিন) রোগের উপসর্গ দেখা যায়। এই কালপর্বকে বলা হয় ‘ইনকিউবেশন পিরিয়ড’। উপসর্গগুলো ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর জীবাণুতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা থাকে উপসর্গবিহীন কিংবা থাকে সাধারণ জ্বরের মতো সামান্য উপসর্গ নিয়ে।

প্রথম সাত দিনে পিসিআর, ভাইরাল অ্যান্টিজেন ডিটেকশন প্রায় নির্ভুলভাবে রোগ শনাক্ত করতে পারে। জ্বরের পাঁচ-সাত দিন পর থেকে আইজি অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয় এবং উপসর্গসহ সেরোলজি টেস্টে এই অ্যান্টিবডির শনাক্তকরণ রোগনিরূপক বলে গণ্য করা হয়।

হঠাৎ উচ্চমাত্রার জ্বর দেখা দেয়, যা প্রায় ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। শরীরে কাঁপুনি, তীব্র মাথাব্যথা, অক্ষিকোটরের পেছনে ব্যথা হয়। হাড়ের জোড়ায় বা গিঁটে ও মাংসপেশিতে প্রবল ব্যথার কারণে এই রোগের আরেক নাম ‘হাড়ভাঙা জ্বর’ বা ব্রেক বোন ফিভার। ১৭৮০ সালে পদার্থবিদ বেঞ্জামিন রাশ এই শব্দ প্রথম প্রয়োগ করেন। অন্যান্য উপসর্গ হলো ক্লান্তি, বমিভাব, বমি। উপসর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে ত্বকে লাল ফুসকুড়ি অথবা অসুখের চার-সাত দিনের মধ্যে হামের মতো র‍্যাশ দেখা যায়।

রক্তক্ষরী ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (যা ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়) দেখা দিতে পারে ৫ থেকে ৭ দিনের মাথায়। এ সময় নাক, মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।

প্রথম সাত দিনে পিসিআর, ভাইরাল অ্যান্টিজেন ডিটেকশন প্রায় নির্ভুলভাবে রোগ শনাক্ত করতে পারে। জ্বরের পাঁচ-সাত দিন পর থেকে আইজি অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয় এবং উপসর্গসহ সেরোলজি টেস্টে এই অ্যান্টিবডির শনাক্তকরণ রোগনিরূপক বলে গণ্য করা হয়।

ডেঙ্গু জ্বরের জটিলতা হলো রক্তের প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা কমে যাওয়া। রক্তে অণুচক্রিকার স্বাভাবিক মান প্রতি মিলিলিটার ১,৫০০০০ থেকে ২,৫০০০০। ডেঙ্গু জ্বরে তা দ্রুত কমে যায়। তা যদি প্রতি মিলিলিটারের ২০,০০০-এ থাকে, তবে রোগী মারাত্মক জটিলতার ঝুঁকিতে পড়ে। কিন্তু রোগীর অবস্থার উন্নতি হতে থাকলে দু-চার দিনের মধ্যে অণুচক্রিকার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে যেতে থাকে।

রক্তে হিমাটোক্রিটের বাড়তি মানও খারাপ। রক্তের প্লাজমা রক্তনালি ভেদ করে বাইরে টিস্যুতে নিঃসরিত হওয়ার কারণে এটা ঘটে। এ ছাড়া রক্তের শ্বেতকণিকা কমে যাওয়া, অ্যালবুমিন মান কমে যাওয়ার মতো সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। ক্যাপিলারি লিকেজের কারণে বুকে ও পেটে পানি জমতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের সুনির্দিষ্ট ওষুধ নেই। দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে বেশির ভাগ সাধারণ ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। প্রায় ৮৫ শতাংশ ডেঙ্গু জ্বর থাকে সাধারণ মাত্রার, বাড়িতে যার চিকিৎসা করানো সম্ভব। যেমন জ্বর লাঘবে প্যারাসিটামল গ্রহণ করতে হবে। অ্যাসপিরিন বা এ-জাতীয় ওষুধ কখনোই জ্বর নিবারণে ব্যবহার করা যাবে না। এতে রক্তপাতের আশঙ্কা বাড়ে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে বা ডেঙ্গু ধরা পড়লে দিনে অন্তত তিন লিটার পানি পান করতে হবে। সেইসঙ্গে খেতে হবে তাজা ফলের রস, ডাবের পানি, আখের রস ইত্যাদি। সেই সঙ্গে খেতে হবে মাছ ও ডিম, মুরগির মাংস, শাকসবজি। পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে, বেশি বেশি তরল খাবার ও পানীয় পান করতে হবে।

এডিস মশা খুব অল্প পানিতে (৫ মিলি বা ১ চা চামচ পানি) ডিম পাড়ে যা পানি ছাড়াও প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। এই জন্যই লার্ভা ধ্বংসে টেমিফস ১ গ্রাম/১০ লিটার পানিতে খুব কার্যকরী, যা ব্যবহার পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। নির্মাণাধীন ভবনের প্রজননস্থল ধ্বংস করে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব।

এডিস মশার জন্ম হয় পাত্রের জমে থাকা পানিতে। সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের বাড়ি এবং বাড়ির চারদিকে ঘুরে দেখুন, কোথাও কোনো পাত্রে পানি জমে আছে কি না। যদি থাকে তাহলে তা ফেলে দিন বা পরিষ্কার করুন। যদি পাত্রটি এমন হয় যে, পানি ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না তাহলে সেখানে কীটনাশক বা কেরোসিন বা ব্লিচিং পাউডার বা লবণ দিন।

গাড়ির অব্যবহৃত টায়ার বাসায় রাখবেন না কারণ এখানে এডিস মশার জন্ম হয় যদি রাখতেই হয় তাহলে ছাউনির নিচে রাখুন যেন পানি জমা না হয় । দই বা যেকোনো খাবারের পাত্র বাইরে ফেলবেন না। বাথরুমে যদি পানি ধরে রাখতে হয় তাহলে পানির পাত্র সপ্তাহে অন্তত একবার ব্লিচিং পাউডার বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে আবার পানি ভর্তি করুন।

এডিস মশা পানির পাত্রের কিনারে ডিম পাড়ে এবং পাত্রের গায়ে আটকে থাকে। যে কারণে পানি ফেলে দিলেও ডিম নষ্ট হয় না। তাই এটাকে ব্লিচিং পাউডার বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

আপনার বাড়ির পাশে কোন নির্মাণাধীন ভবন থাকলে, এটার বেজমেন্ট, লিফটের গর্ত, ইট ভেজানোর চৌবাচ্চা, ড্রাম পরীক্ষা করুন। যদি এসব জায়গায় জমে থাকা পানিতে ছোট ছোট পোকা দেখতে পান তাহলে বুঝবেন সেটি এডিস মশার লার্ভা বা বাচ্চা। নির্মাণাধীন ভবনের মালিককে সামাজিকভাবে চাপ প্রয়োগ করুন যেন সে তার বাড়িতে মশা জন্মানোর স্থান তৈরি না করেন। নির্মাণাধীন ভবন যদি আপনার হয় তাহলে সেখানে জমে থাকা পানিতে কীটনাশক বা কেরোসিন বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে রাখুন।

আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি মশা জন্মানোর মতো কোনো সরকারি বেসরকারি স্থাপনা থাকে তাহলে ওই অফিসকে জানান। বাড়ির আশেপাশে গাছের গর্ত বা কাটা বাঁশের গোঁড়া মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিন। কারণ গাছের কোটর বা বাঁশের গর্তে এডিস মশার জন্ম হয়।

মশা তাড়ানোর যে সমস্ত মশার কয়েল, ধূপ বা তেল ব্যবহার করা হয়, তার অনেকগুলোই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এগুলোর ধোঁয়া সিগারেটের ধোঁয়ার চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু রান্নাঘরেই রয়েছে এমন কয়েকটি উপাদান, যা সহজেই তাড়িয়ে দিতে পারে মশা।

মশা তাড়ানোর জন্য লাগবে কিছুটা রসুন, তেজপাতা গুঁড়া আর কর্পূর। আর একটু সরিষার তেল।

কীভাবে বানাবেন মশা তাড়ানোর মিশ্রণটি?

প্রথমে, একটি মাটির প্রদীপ নন। এক চামচ রসুন বাটা দিন। এর সঙ্গে সামান্য তেজপাতা গুঁড়া আর কর্পূর মেশান। গোটা মিশ্রণটির উপর এ বার সরিষার তেল ঢেলে দিন। এমন ভাবে তেল দেবেন, যেন পুরোটা তেলে ডুবে যায়। এর পরে এতে একটি সলতে যোগ করে দিন। সলতেটিতে আগুন জ্বালিয়ে দিন। দ্রুত পালাবে মশা। এটি আপনার শরীরেরও কোনও ক্ষতি করবে না।

একটি লেবু চার টুকরো করে কেটে, কাটা অংশে পাতিলেবুর শাঁসের মধ্যে কয়েকটা লবঙ্গ গুঁজে দিন। এমন ভাবে গাঁথবেন, যাতে লবঙ্গর মাথাগুলো বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকে।

এই ভাবে বাড়ির নানা কোণে বা জানালার কাছে প্লেটে করে রেখে দিন লেবু-লবঙ্গের এই মিলমিশ। এতে ঘরে মশা প্রবেশ করবে না। লেবু ও লবঙ্গের যৌথ গন্ধে মশা পালাবে আবার রাসায়নিকের সংস্পর্শ নিতে হবে না।

কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না মশারা। কর্পূর উদ্বায়ী বলে একে খোলা জায়গায় ফেলে রাখা যায় না। সে ক্ষেত্রে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে এনে তাকে একটা পানিভর্তি পাত্রে ফেলে রাখুন। এতে কর্পূর উবে যাবে না আবার মশাও দূরীভূত হবে সহজে।

মশা নিধনের জন্য ধোঁয়া দিয়ে হয়তো উড়ন্ত মশা মেরে ফেলা যাবে। কিন্তু যে পানিতে লার্ভা থাকে সেখানে যদি সরাসরি স্প্রে না করা হয় তাহলে এডিস মশা জন্মাবেই। তাই এডাল্ডিসাইডের পাশাপাশি লার্ভিসাইডও করা দরকার। অর্থ্যাৎ ধোঁয়া দিয়ে মশা নিধনের পাশাপাশি স্প্রে করতে হবে। জেনে নিন যেভাবে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করবেন-

সাবান

বিভিন্ন নার্সারিতে কীটপতঙ্গ মারার জন্য এক ধরনের সাবান ব্যবহার করা হয়। তবে মশার লার্ভা ধ্বংসে যেকোন ধরনের সাবানই কার্যকর। মশার লার্ভা ধ্বংসে বাসন মাজার সাবান, শ্যাম্পু সবই ব্যবহার করতে পারেন। এক গ্যালন পানিতে এক মিলিলিটার সাবান মিশিয়ে মশার উৎসস্থলে দিতে পারেন লার্ভা ধ্বংসের জন্য।

ব্লিচিং পাউডার

ব্লিচিং পাউডার যদিও পরিবেশবান্ধব নয় তারপরও এটি মশার লার্ভা ধবংসের জন্য কার্যকর। যখন অন্য কোনও উপায় থাকবে না তখনই শুধু এটা ব্যবহার করুন।শুধুমাত্র নিশ্চিত হয়েই লার্ভার উৎসস্থলে এটি ব্যবহার করুন। এমন স্থানে এটি ব্যবহার করুন যেখানে অন্য কোনও পানিপ্রবাহের উৎস নেই। বৃষ্টির জমে থাকা বদ্ধ পানিতে এটা ব্যবহার করতে পারেন। প্রতি গ্যালন পানিতে এক চামচ ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করে মশার লার্ভা ধ্বংস করতে পারেন।

বিভিন্ন রকম তেল

এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের তেল বেশ কাজে দেয়। বিশেষ করে অলিভ অয়েল, ভেজিটেবল অয়েল এবং কেরোসিন তেল দিয়ে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করা যায়। জমে থাকা পানিতে এই ধরনের তেল দিলে লার্ভা নষ্ট হয়ে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন মাছ আছে এমন পানিতে এইসব তেল ব্যবহার না করাই ভালো।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

স্থির পানিতে আপেল সিডার ভিনেগার ঢেলে মশার লার্ভার ধ্বংস করা যায়। তবে এর ফল পেতে কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা সময় লাগে। এই মিশ্রণটি তৈরি করতে ৮৫ ভাগ পানির সঙ্গে ১৫ ভাগ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মেশাতে হবে। তবে এই মিশ্রনটি এমনভাবে তৈরি করতে যাতে ভিনেগারের পরিমাণ বেশি থাকে ।ভিনেগারের পরিমাণ কম হলে লার্ভা ধ্বংস করা যাবে না। ভিনেগার পরিবেশের জন্য নিরাপদ। এডিশ মশার লার্ভা ধ্বংসে এটা ব্যবহার করতে পারেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭ আগস্ট/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
“চাঁদাবাজ যতই প্রভাবশালী হোক, পার পাবে না”
গোপালগঞ্জে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
আদাবরে সালিস বৈঠকে গুলি: নিহত ১, অস্ত্রসহ আটক ২
বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা