কেন্দুয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯০ প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

আশরাফ গোলাপ, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
| আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০১ | প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:২৪

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯০টি বিদ্যালয়ে পূর্ণ মর্যাদার প্রধান শিক্ষক নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিসে ১৩ টি পদের মধ্যে ৮ টি পদেই খালি। শুধুমাত্র ৩ জন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও দুইজন অফিস সহায়ক জোড়াতালি দিয়ে কোনভাবে চালাচ্ছেন। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম।

এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও চলতি দায়িত্বে থেকে একই সঙ্গে দুই দায়িত্ব পালন করছেন। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরও। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে পড়ছে। শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হলে শিগগিরই এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, কেন্দুয়া উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে ৯০টিতে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ৪৭টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাজ চালানো হচ্ছে। ৪৩টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। সহকারী শিক্ষা অফিসারের সংকট থাকায় ৭টি ক্লাষ্টারের কার্যক্রমও ব্যহত হচ্ছে। আর ৯২ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরাসরি পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন।

পোড়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুস সাকি জানান, তাদের বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে পালন করে আসছেন তিনি। বিদ্যালয় এবং অফিসের কাজ দুটোই করতে হচ্ছে ফলে বেশি চাপে থাকতে হচ্ছে। তাই দ্রুত একজন স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

কেন্দুয়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জহুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. জামিরুল হক জানান, উপজেলার ৯০টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্যসহ শিক্ষা অফিসের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ৮টি পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ে পাঠদানসহ অফিসের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। শীঘ্রই এসব পদ পুরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, প্রায় বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাছাড়া অফিসেও ৮টি পদ খালি আছে। এভাবে চললে শিক্ষার গুণগতমান ক্ষুন্ন হবে। দ্রুত এ শূন্যস্থানে শিক্ষক নিয়োগ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

কেন্দুয়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবুল হোসেন জানান, উপজেলার ১৮২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯০টিতে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। অফিসে ১৩টি পদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ৮ টি পদই শূন্য। যার ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শূন্য পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এটির একটি প্রক্রিয়া চলছে। নিদিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, তবে শূন্য পদগুলো তাড়াতাড়ি পূরণ হবে বলে আশা করছি। তাছাড়া অফিসিয়াল পদগুলো শীঘ্রই পুরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৭ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :