২৮ অক্টোবর

মহাখালী থেকে মগবাজার: পথে পথে যা দেখলাম

আনিসুর রহমান, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৪২| আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৭
অ- অ+

সকাল সাড়ে ৭টায় আমি মহাখালী টিবি গেট। বাসের জন্য অপেক্ষা। ৫ মিনিট পর গুলশানের দিক থেকে একটি বাস এলো। বাসটি মানুষে ঠাসা। অনেকে ঠেলাঠেলি করে নামছেন আবার অনেকে ওঠার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে এক স্কুলছাত্রী বাস থেকে নেমেই চিৎকার করে উঠল। বলছে আমার বেগ থেকে চেইন খুলে মোবাইল নিয়ে গেছে। কিন্তু মোবাইল চোর ভালো মানুষের ভিড়ে মিশে হারিয়ে গেল। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল। বাস চলল।

৫ মিনিট পর মহাখালী আমতলী গিয়ে নামলাম। যাবো মগবাজার। বাস নেই। ব্যস্ত এই সড়কে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে মাত্র দুটি বাস পেলাম। দুটিই যাত্রীতে ঠাসা। ওঠার উপায় নেই। বাসও থামেনি। অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে বাসের অপেক্ষায়। অনেকে পায়ে হেঁটেই চলছেন অফিস বা কর্মক্ষেত্রের দিকে। কেউ সিএনজি দিয়ে বা মোটরসাইকেল রাইড শেয়ার করে।

মহাখালী এলাকায় সকালে বাস সংকট। অনেকে পায়ে হেঁটেই চলছেন কর্মস্থলে।  আমিও অফিসে যাওয়ার উপায় খুঁজছি। এ সময় দেখলাম দুজন লোক সিএনজি ভাড়া করছেন। তারা কাকরাইল যাবেন। আমিও তাদের সঙ্গে উঠে গেলাম। তিন জন ১৫০ টাকা। যাওয়ার পথে তাদের সঙ্গে আলাপ হয়। তারা এসেছেন উত্তরা থেকে। একটি জরুরি কাজে কাকরাইল যাবেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব দুই জনের মধ্যে একজনের নাম রফিক, অপর জনের নাম সবুজ।

জানতে চাইলাম উত্তরা থেকে মহাখালী আসার পথে কী দেখলেন রাস্তায়। সকালের চিত্র কী? তারা জানালেন, উত্তরা থেকে এই মহাখালী পর্যন্ত তারা এসেছেন সিএনজি দিয়ে। রাস্তায় বাস নেই বললেই চলে। আজ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশ ঘিরে রাস্তায় কোনো দলের মিছিল নেই। নেতাকর্মীদের জটলা নেই। পুলিশের দেখাও মেলেনি। তারা বলছেন, কেউ চায় ক্ষমতায় থাকতে আর কেউ চায় ক্ষমতায় যেতে। মাঝখানে পাবলিকের ভোগান্তি। দুই দল বসে আলোচনা করে একটি পথ বের করুক। ক্ষমতায় যেই আসুক। সুষ্ঠু ভোট হোক এটাই চাই। তা না হলে সামনে দেশে সংঘাত বাড়বে। অস্থিরতা বাড়বে। এতে দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

কথা বলতে বলতে ফাঁকা রাস্তায় সিএনজি দ্রুত মগবাজার ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ মাথায়। আমি নেমে গেলাম। তারা চলে গেলেন। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে যখন অফিসের দিকে আসছিলাম। দেখলাম গত কয়েকদিনের মতো আজও ব্যস্ত ফুটপাতগুলো ফাঁকা। এসব ফুটপাত সব সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে। চা-বিস্কুট, কলা-রুটি, ডাবসহ নানা ধরনের খাবার বিক্রি হয়। একাধিক দোকানদারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, যখনই রাজধানীতে কোনো আন্দোলন-সমাবেশ হয় তখন এই এলাকার ফুটপাত বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এছাড়া মাঝে মাঝেই অভিযান হয়। তখন একবেলা বা একদিন বন্ধ থাকার পর আবার ফুটপাতগুলো সরগরম হয়ে ওঠে।

লেখক: আনিসুর রহমান, সাংবাদিক।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা