সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার সময়েও সক্ষমতার ৪৪ শতাংশ ব্যবহার হয় না: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৩১ | প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ২০:১৫

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে দিনে ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। ১১ হাজার ৭৩৬ মেগাওয়াট সক্ষমতা বসিয়ে রাখতে হয়েছে। তার মানে সর্বোচ্চ চাহিদার সময়েও ৪৪ শতাংশ বিদ্যুৎ সক্ষমতা অলস ছিল। গড়ে ৫০ শতাংশের বেশি বসিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু উৎপাদন না করলেও দিতে হয় কেন্দ্র ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ)।

‘পরিবর্তনের পথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত’ শীর্ষক ত্রৈমাসিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় এসব তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর তিন মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে তাদের কার্যালয়ে এটি প্রকাশ করে তারা। এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি ছিল। উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি নিশ্চিত করা যায়নি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সহযোগী গবেষক হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তী।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জ্বালানি খাতে ডলারের অপচয় বন্ধ না করলে ডলারের ক্ষয় কমিয়ে আনা কঠিন। অর্থাৎ বিকল্প জ্বালানিতে না গেলে দেশে ডলার সংকট বাড়তে থাকবে। ডলার সংকট সহজে সমাধান হবে না। এটা দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জের বড় উৎস জ্বালানি খাত।

তিনি বলেন, আমরা খুঁজছি কোন জায়গা থেকে একটা ডলার বাঁচানো যায়। কিন্তু সেখানে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে হচ্ছে, অথবা বাকি রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে এলএনজি ও কয়লা আমদানি করতেও খরচ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি না করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।

জ্বালানি খাতের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে সিপিডির গবেষণা সহযোগী হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তি বলেন, অতিরিক্ত অব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, বিপিডিবি ইনস্টলড বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ করেছে। সঞ্চালন লাইন ও সাবস্টেশনে অগ্রগতি সত্ত্বেও জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বিভ্রাট বেড়েছে। এসব সমস্যা দূরীকরণে স্মার্ট গ্রিড এবং আধুনিক ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম গড়ে তোলা প্রয়োজন।

ক্যাপাসিটি চার্জকে বড় রকমের অপচয় উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমরা মনে করি ২০০৯ সালে বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। সে সময়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করার যুক্তি ছিল। তখন আমাদের ঘাটতি ছিল। কিন্তু পর্যায়ক্রমে বেসরকারি খাত উদ্বৃত্ত হয়েছে। উদ্বৃত্ত থেকে এখন বাহুল্য হয়েছে। এটা বাহুল্য বা মাথা ব্যথার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/কেএ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের জন্য কর সুবিধা চালু রাখবে অস্ট্রেলিয়া

যুক্তরাষ্ট্রে আমার একটা সুতাও নাই: ঢাকা টাইমসকে আজিজ আহমেদ

লিফটে আটকা স্বাস্থ্যমন্ত্রী: তদন্তে যা বেরিয়ে এলো

কৃষি খাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী

১১২ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার কিনবে সরকার

আগেও বাংলাদেশে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র

ভোটার উপস্থিতি কম: সিইসি বললেন ‘রাজনৈতিক সংকট সমাধান হওয়া উচিত’

উপজেলা নির্বাচন: বিচ্ছিন্ন ঘটনায় শেষ হলো ভোটগ্রহণ, চলছে গণনা

নিষেধাজ্ঞার পর যা বললেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ

সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :