সশস্ত্র বাহিনীর
২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীতে অবিচার–প্রতিহিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় বহু কর্মকর্তা বঞ্চনা, অবিচার ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন যাচাই–বাছাই করে যথাযথ সুপারিশ পেশের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
অন্য সদস্যরা হলেন— সাবেক মেজর জেনারেল মুহাম্মদ শামস-উল-হুদা, মেজর জেনারেল (অব.) শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ শফিউল আজম এবং এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মুহাম্মদ শাফকাত আলী। এ ছাড়া কমিটিতে আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, নৌ সদরদপ্তরের নেভাল সেক্রেটারি, বিমান বাহিনীর এয়ার সেক্রেটারি এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড লজিস্টিকস)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে যারা বঞ্চনা, অবিচার ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন, তাদের আবেদন পর্যালোচনা করবে কমিটি। কমিটি শিগগিরই আবেদন গ্রহণের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেবে। আবেদন পাওয়ার সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে প্রতিটি আবেদন পর্যালোচনা করে যথাযথ সুপারিশ প্রণয়ন করতে হবে। প্রয়োজনে সেনাসদর, সামরিক সচিব বা তার প্রতিনিধির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে কমিটি। এমনকি চাইলে যে কোনো চাকরিরত কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও কো-অপ্ট সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিটি নিয়মিত বৈঠক করে প্রতিবেদন তৈরি করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পেশ করবে।

মন্তব্য করুন