১০ বন্দির মুক্তির বিনিময়ে আরও এক দিন যুদ্ধবিরতি দেবে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৩১| আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৩
অ- অ+

কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের ‍যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা বন্ধের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার তেলআবিবের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় ৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করার পর সভার অধিকাংশ সদস্যই সেটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। ৫০ জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হবেন ১৫০ ফিলিস্তিনি।

তবে কখন জিম্মিদের হস্তান্তর করা হবে এবং কবে থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।

এছাড়াও বন্দি মুক্তি নিয়ে আরও একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। অতিরিক্ত ১০ জন বন্দিকে মুক্তি দিলে তার বিনিময়ে গাজায় আরও একদিন যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে।

এদিকে এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় সব এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে যেকোনো ধরনের অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকবে। এছাড়াও চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি সামরিক যান চলাচলও বন্ধ থাকবে।

চিকিৎসা উপকরণ, জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে শত শত ট্রাক সীমান্ত পেরিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ এসব ট্রাককে গাজায় ঢোকার অনুমতি দেবে।

হামাস আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় চার দিনের জন্য ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। আর উত্তর গাজায় প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা (স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত) ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখা হবে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা অবস্থায় গাজার যেকোনো এলাকা থেকে যে কাউকে আটক করা কিংবা কারও ওপর হামলা না করার বিষয়েও সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে ইসরায়েল সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে আটক থাকা ৫০ জনের মতো বন্দিকে (নারী ও শিশু) আগামী চার দিনের মধ্যে মুক্তি দেয়া হবে। তাদের নিরাপদে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে। কারণ ইসরায়েল সরকার সব বন্দিকে মুক্ত করার বিষয়ে দায়বদ্ধ।

তবে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হলেও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি বলে হুমকি দিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সরকার, দেশের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। সব জিম্মিকে দেশে ফেরানো, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন করে আর কোনো হুমকি নেই, এমনটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। পাল্টা বিবৃতি দিয়ে হামাস জানিয়েছে, তাদের আঙুল ট্রিগারে থাকবে। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়া মাত্রই ট্রিগার চাপবেন তারা।

(ঢাকাটাইমস/২২ নভেম্বর/কেএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আমিরাতের কাছে টি ২০ সিরিজ হারলো বাংলাদেশ
আজ শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে সকাল-সন্ধ্যা অবস্থান করবে ছাত্রদল
জিওটেক্সটাইলের গবেষণা ও উৎপাদন বাড়াতে হবে
তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে সিরাজগঞ্জে যুবদলের প্রস্তুতি সভা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা