সমাবেশে এসে গ্রেপ্তার চট্টগ্রামের বিএনপি নেতার মৃত্যু কাশিমপুর কারাগারে
চট্টগ্রাম মহানগরের মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি গোলাপুর রহমান (৬৩) ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে মারা গেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টেলিফোনে বিষয়টি গোলাপুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে।
গোলাপুর রহমানের পরিবারের বরাত দিয়ে ইদ্রিস আলী জানান, কাশিমপুর কারাগারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, দুপুর ২টার দিকে গোলাপুর রহমান কারা সেলে অসুস্থ বোধ করেন। তাকে কারা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মারা যান। তার মরদেহ গ্রহণের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাশিমপুর কারাগারে যেতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, পিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে গোলাপুর রহমানের সন্তানেরা ঢাকায় আসছেন।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাপুর রহমান। তাঁকে উদ্ধার করে কারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাঁকে কারা অ্যাম্বুলেন্সে দ্রুত গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে পল্টন থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা ছিল। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, আইনিপ্রক্রিয়া শেষে লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ইদ্রিস আলী জানান, এ ঘটনায় চট্টগ্রামে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর গভীর শোক জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন গোলাপুর রহমান। সমাবেশের আগের দিন সন্ধ্যায় চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মোহরা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম এবং গোলাপুর রহমানসহ সাত জনকে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। এরপর থেকে তারা কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/এআর)