হামাসকে অর্থায়নের অভিযোগে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়নের জন্য একটি অবৈধ আর্থিক নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২১ ইরানি, অনান্য বিদেশি নাগরিক এবং কয়েকটি সংস্থাও রয়েছে। খবর আলজাজিরা।
বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, ফিলিস্তিনের হামাস এবং লেবানন ভিত্তিক গ্রুপ হিজবুল্লাহসহ একাধিক আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অর্থায়নের জন্য ‘বিদেশী ভিত্তিক ফ্রন্ট কোম্পানি এবং দালালদের’ ওপর নির্ভর করে ইরান। যারা ইরানের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে বিলিয়ন ডলারের উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেয়।
বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারির সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেছেন, ইরান অবৈধ অর্থায়ন প্রকল্পে আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জন্য তহবিল তৈরি করতে এবং সমগ্র অঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সামরিক বাহিনী এবং তার সহযোগী অংশীদারদের তহবিলের এই গুরুত্বপূর্ণ উত্সকে ব্যাহত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আলজাজিরা বলছে, মূলত গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ আরও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং এবং ইরানে অবস্থিত বেশকিছু সংস্থা রয়েছে। যারা ইরানের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখার জন্য তহবিল তৈরি করতে সহায়তা করে, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী লজিস্টিকস এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজে ইরান ভিত্তিক সংস্থা সেপেহর এনার্জি এবং এর সঙ্গে যুক্ত কর্মচারী, দালাল এবং ক্রেতারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সংস্থাটি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
এদিকে ঘোষণাটি এমন সময় এলো যখন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছিলেন, তিনি জাতিসংঘের সদর দফতরে ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। কারণ মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাকে এবং তার প্রতিনিধিদলের জন্য সময়মতো ভিসা সরবরাহ করেনি।
(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এমআর)